১লা ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হবে মাসব্যাপী ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা- ২০১৬’। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকাল ৩টায় বাংলা একাডেমি চত্বরে উদ্বোধন করবেন এবং সেই সাথে প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করবেন তিনি।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং সভাপতিত্ব করবেন এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মেলা এলাকাজুড়ে দু’শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কোন দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে যাবের দু’টি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণ ও পাশ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে বলেও তিনি জানান।
শামসুজ্জামান খান বলেন, বিদেশী দুই গবেষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করবেন। তারা হলেন, যুক্তরাজ্যের কবি ও জীবনানন্দ অনুবাদক জো উইন্টার এবং চেক প্রজাতন্ত্রের লেখক ও গবেষক রিবেক মার্টিন। এবারের গ্রন্থমেলার মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বাংলা একাডেমির হীরকজয়ন্তী’। এবছর বাংলা একাডেমি ও একাডেমি সম্মুখস্থ ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের ৪ লাখ ৭৮ হাজার বর্গফুট এলাকা নিয়ে গ্রন্থমেলার স্টল বিন্যাস করা হয়েছে। গতবছর এ আয়তন ছিল প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট। একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮২টি প্রতিষ্ঠানকে ১১১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩২০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪০টি ইউনিটসহ মোট ৪০২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৫১টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় বাংলা একাডেমিসহ ১৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১৫টি প্যাভিলিয়নের স্থান দেয়া হয়েছে। যার মোট আয়তন ৬ হাজার বর্গফুট। গতবছর ১১টি প্যাভেলিয়নসহ ৫৬৫টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। প্রকাশিত বইয়ে ৩০% – ২৫% কমিশনে মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রকাশনা বই বিক্রি করা হবে।