শাহরুখ খানের রবিবার সেই চেন্নাই থেকে এত দূর ছুটে আসাটা পুরো জলে গেল। নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের শহরে বলিউড বাদশা গিয়েছিলেন স্পনসরশিপের জয় দেখবেন বলে। কিন্তু তিনি গেলেন কোথায়?
একটু পর অবশ্য তাঁকে দেখা গেল ইডেন ড্রেসিংরুমের লাগোয়া রাস্তা ধরে শাহরুখ খান হাঁটছেন। নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছেন মাঠের ধারে। সান্ত্বনার হাত রাখছেন প্রিয় নাইট যোদ্ধাদের পিঠে। কী আর করতে পারতেন বাদশা? ফিঞ্চরা আউট হওয়ার সময় দেখা দিতেনও বা কী ভাবে? গুজরাতের ম্যাচ জিততে তো তখন দরকার ছিল এক, মাত্র এক রান!
সোজা কথা সহজে লিখে ফেলা ভাল। আইপিএলে এটা কেকেআরের প্রথম হার এমন নয়।
পরিসংখ্যান দেখাচ্ছিল যে, আইপিএল নাইনে কেকেআরের আজ পর্যন্ত কোনও ম্যাচে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে দু’উইকেট যায়নি। এ দিন চারটে চলে গেল। ইউসুফ পাঠান প্রাণান্ত চেষ্টা করলেন। পদ্মাপারের সাকিব নিজের অফ ফর্মের ঘুম ভেঙে এ দিন জেগে উঠলেন। কিন্তু দু’জনের ১৩৪ রানের পার্টনারশিপ বাইশ গজে টিমের ব্যাটিং-লাঞ্ছনা শুধু আটকাতে পারল শেষ পর্যন্ত। জেতাতে পারল না। আসলে ১৫৮ দিয়ে যে কোনও টিমের বিরুদ্ধেই টি-টোয়েন্টিতে জেতা মুশকিল। আর এটা তো সিএসকে-টু। যারা পাওয়ার প্লে-তে কেকেআরের ২৪-৪-এর উত্তরে তুলে দিল ৪৬-১।সংক্ষিপ্ত স্কোর: কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০ ওভারে ১৫৮-৪ (সাকিব ৬৬ ন.আ, ইউসুফ ৬৩ ন.আ), গুজরাত লায়ন্স ১৮ ওভারে ১৬৪-৫ (কার্তিক ৫১, ফিঞ্চ ২৯)।