ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইজিয়ামে একটি গণকবরে ৪৪০টিরও বেশি মরদেহ পাওয়া গেছে। কয়েকদিন আগেই এখান থেকে রুশ বাহিনীকে উৎখাত করা হয়েছে।
খারকিভে পুলিশের প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা সেরহি বোলভিনভকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, “আমি বলতে পারি মুক্ত করা শহরগুলোর মধ্যে এটা সবচেয়ে বড় কবরস্থানের মধ্যে অন্যতম। এখানে একই জায়গায় ৪৪০টি মরদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। কেউ কামানের গোলায় মারা গেছেন, কেউ বিমান হামলায়।”
গত সপ্তাহান্তে ইউক্রেনীয়দের পাল্টা আক্রমণে রুশ বাহিনী এই অঞ্চল থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। খারকিভ অঞ্চলের এই শহরটি রুশ বাহিনী দখল করে রেখেছিল। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স আরও জানায়, তারা বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও সাজ-সরঞ্জাম ফেলে গেছে।
রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ইউক্রেনের দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি এবং রুশদের পক্ষ থেকে এই অভিযোগের বিষয়ে কোন তাৎক্ষণিক প্রকাশ্য বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বুধবার এই শহরটি পরিদর্শন করেন। তিনি দাবি করেন, রুশরা এর জন্য দায়ী। তিনি ইজিয়ামের আবিষ্কারকে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে কিয়েভের উপকণ্ঠে অবস্থিত শহর বুচায় সংঘটিত একই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেন।
ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে। রাশিয়া সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার দায় অস্বীকার করেছে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরও ৬০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ নিয়ে ২১তম বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র ও অন্যান্য সাজসরঞ্জাম সরবরাহ করলো।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫১০ কোটি ডলার নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে।
জেলেন্সকি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের বাহিনী গত ২ সপ্তাহে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খারকিভ অঞ্চলের প্রায় পুরোটাই পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে দখলমুক্ত করেছে।