দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে। উত্তরে সাতটি জেলায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।
কুড়িগ্রাম জেলায় শহররক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে পড়ে নয়টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। সেখানকার একজন বাসিন্দা আব্দুল সবুর বলছিলেন “চুরানব্বই সালের পর এমন বন্যা আর দেখি নি, সব পানিতে ভাইসা গেছে”।
বাংলাদেশে ১৯৯৮ সালে অনেক এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। তবে কুড়িগ্রামের স্থানীয় মানুষ বলছেন ৯৮ সালে বন্যা হলেও তাদের জেলায় ১৯৯৪ সালের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্রায় দুইশ স্কুল বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে বন্যা কবলিত আরেক জেলা জামালপুর। জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১১৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যেটা ১৯৮৮ সালের বন্যায় ছিল ১২৫ সে.মি.। অর্থাৎ ১৯৮৮ সালের পর এবছরই এমন বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
এদিকে বন্যা আক্রান্ত ১৫ জেলায় ৪৩৫০ মেট্রিক টন জিআর খাদ্যশস্য পাঠানো হয়েছে। বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে ৬ হাজার মেট্রিকটন চাল ও নগদ সাড়ে ৫ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রীর ৫৬৬৭টি প্যাকেট পাঠানো হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠানো হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতাকালে এ তথ্য জানান।