আগামী এক মাসের মধ্যে সারাদেশে প্রাথমিকে আরও ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এসব কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত দুই বছরে আমরা ২২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে আরও প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এক মাসের মধ্যে আমরা এই নিয়োগ সম্পন্ন করব।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকের প্রধান চ্যালেঞ্জ হল মানসম্পন্ন শিক্ষা। এ লক্ষ্যে শিক্ষক ট্রেনিং বাড়ানো হয়েছে। আগে প্রাইমারি ছিল পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। এখন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিকের আওতায় আনা হয়েছে। এ জন্য কারিকুলাম তৈরির কাজ চলছে।’
মন্ত্রী জানান, সারাদেশে যেসব স্কুল জরাজীর্ণ আছে, আগামী ২০১৮ সালের পর একটি স্কুলও এই দশায় থাকবে না।
শিক্ষাখাতে বাজেট বেড়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গতবার প্রাথমিক শিক্ষায় বাজেটে বরাদ্দ ছিল সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এবার সেখানে দেয়া হয়েছে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা। শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয় মিলে গতবার মোট বাজেট ছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা। এবার দেয়া হয়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি।’
শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের ২৪ বছরে এই দেশে একটি প্রাইমারি স্কুলও সরকারি হয়নি। সে সময়ে কোনো মাদরাসার জন্যও টাকা দেয়নি পাকিস্তান সরকার। ব্যক্তিগত দান-অনুদানের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলেছে।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অথচ বঙ্গবন্ধু শুরুতেই দেশের ৩৭ হাজার প্রাথমিক স্কুলকে সরকারিকরণ করেছিলেন। এরপর অবশ্য যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা কেউ প্রাথমিক স্কুলের সরকারিকরণ নিয়ে ভাবেনি। শেখ হাসিনার সরকার আবার ২৭ হাজার স্কুলকে সরকারিকরণ করেছে।