36 C
Bangladesh
Tuesday, June 6, 2023
Homeসারাদেশকমিউনিটি ক্লিনিকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষ

কমিউনিটি ক্লিনিকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষ

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

নিজের উদ্ভাবিত কমিউনিটি ক্লিনিকের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি মেলায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাসস জানায়, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

পরে সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে এবং সাধারণ মানুষ সেখানে চিকিৎসা নিতে আসছে।”

এর ফলে দেশে অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানালেন সরকারপ্রধান।

কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার অভিজ্ঞতা অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথাও জানান শেখ হাসিনা।

“অনেক দেশ এখনও মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পারেনি। তারা চাইলে আমরা তাদের কাছে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব,” বলেন তিনি।

গত মঙ্গলবার কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে জাতিসংঘে প্রথমবারের মত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত ওই দিন সংস্থাটির সাধারণ পরিষদে ‘কমিউনিটি ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’ শিরোনামের প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন; পরে সব সদস্য দেশ সর্বসম্মতভাবে এটিকে সমর্থন করে।

এসব রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে বর্ণনা করেছেন ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে।

এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এমনকি আমি নিজেও জানতাম না যে প্রস্তাবটি (কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়ে) কখন জাতিসংঘে উত্থাপিত হয়েছিল। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আমাকে অবহিত করেছিলেন।”

সব মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগের স্থপতি শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তারা সীমিত সম্পদ নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ১১ হাজার বাড়ি তৈরি করেছে এবং ৪ হাজার বাড়িতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে।

তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করার ফলাফল সম্পর্কে জানার জন্য তারা এক বছর পর একটি জরিপ পরিচালনা করেন এবং এর সাফল্যের হার ৭০ শতাংশের বেশি পাওয়া গেছে।

ইতিবাচক ফলাফল দেখে তিনি বলেন, ওই সময়ে সরকার এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ১১ হাজার বাড়িতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা তা করতে ব্যর্থ হয়।

২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামাত জোট সরকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়। কারণ তারা মনে করেছিল সেখান থেকে চিকিৎসা নেয়া জনগণ নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামাত সমর্থকসহ সব মানুষ ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা সেবা নিলেও বিএনপি-জামাত জোট কেন কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল সে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তারা ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছেন, যাতে এটি আর কেউ বন্ধ করতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি ১০ শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই উদ্যোগে কো-স্পন্সর করায় ৭০টি দেশকে ধন্যবাদ জানাতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এজন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানান। কারণ তারা ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে বারবার তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।

বুলেট, বোমা ও গ্রেনেড থেকে রক্ষা পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “গ্রেনেড, বোমা ও বুলেট হামলার পরও আমি বেঁচে আছি বলে আল্লাহর কাছে আমার সকল কৃতজ্ঞতা। আমি এখনও দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

Most Popular

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img