পানি কমতে শুরু করলেও এখনও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপরে থাকায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েণ্টে বিপদসীমার ৮২ সে.মি ও ধরলার নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জে একটি পাকা সড়ক ভেঙে ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার শহরের কিছু এলাকা এখনও প্লাবিত রয়েছে। চিলমারী উপজেলা শহরে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি।
দিন যতই গড়াচ্ছে বন্যা কবলিতদের দুর্ভোগ বাড়ছে। আশ্রয়, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদিপশুর খাদ্য সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। ধরলা অববাহিকার অনেক ঘর-বাড়ি থেকে পানি নামলেও এখনও বসবাসের উপযোগী হয়নি। বানের পানিতে ফসল হারিয়ে অনেক কৃষক পরিবার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রে ১৫, দুধকুমারে ১৪ ও ধরলায় ১৬ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।
কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আকতার হোসেন আজাদ জানান, ৯টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়নের ৭২৮টি গ্রাম এখন পানির নিচে। ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৮৬ পরিবারের প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত রয়েছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব জানান, এ পর্যন্ত ৯৭৫ মে. টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বিতরণ হয়েছে ৮৭৫ মে.টন.। প্রাপ্ত ২৮ লাখ টাকার মধ্যে ২৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। শুকনো খাবার দুই হাজার প্যাকেট বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।