গ্রন্থ ‘আল-কাবায়েরে’ একটি হাদিস উল্লেখ করেন হাফেয শামছুদ্দিন যাহাবি রহ.। যেখানে উল্লেখ রয়েছেন অসংখ্য নারী কোন কাজের দ্বারা জাহান্নামে যাবে ।
হযরত আলি রাযি. ও হযরত ফাতিমা রাযি. উভয়ে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের সাথে সাক্ষাত করার জন্য তাঁর নিকট এলন। সে দেখতে পেলেন, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আঁখিযুগল হতে অশ্রুবারি বর্ষিত হচ্ছে। তাঁর আঁখিদ্বয় লাল হয়ে গেছে। এতে তাঁরা উভয়ে খুবই অস্থির ও পেরেশান হয়ে গেলেন। তাঁরা উভয়ে খুবই অস্থির ও পেরেশান হগয়ে গেলেন। তাঁরনা উভয়ে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কাঁদছেন কেনো? কোন কারণে আপনি পেরেশান ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়েছেন? কি কারণে আপনি কেঁদে কেঁদে চোখ লাল করে ফেলেছেন?
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“হে নারীগণ! তোমরা দান-সদকা করো। বেশি বেশি করে আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। কেননা আমি জাহান্নামে তোমাদের অধিকহারে দেখেছি। এ কথা শোনার পর উপস্থিত মহিলাদের মধ্য থেকে একজন (যার নাম ছিল জাযলা) প্রশ্ন করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের কেন এ অবস্থা? কেন জাহান্নামে আমরা বেশি সংখ্যায় যাবো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমরা স্বামীর প্রতি বেশি অকৃতজ্ঞ ও অভিশাপ দাও বেশি” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৯]
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন, ফাতেমা! আমি বসা ছিলাম। আমার মানসপটে তখন ভেসে উঠল যে, আমি মেরাজে গিয়ে আমার উন্মতের কিছু নারীকে জাহান্নামের শাস্তিতে নিপতিত দেখতে পেলাম। তাদের কথা চিন্ত করেই আমার ছোখ অম্রুসজল হয়েছে।
তারা বললেন, আপনি আমাদেরকে বলুন, তারা কোন কোন নারী ?
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি প্রথমে যে নারীকে জাহান্নামে দেখতে পেয়েছি, সে ছিলো তার চুলে ঝুলন্ত। মুরগী রোস্ট করার জন্য যেভাবে লৌহদণ্ডে গেঁথে ঝুলিয়ে দেয়া হয়, সেই নারীকেও তার চুলে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে তার মস্তিস্ক উনুনের পাতিলে জাল দেয়া পানির ন্যায় টগবগ করছিলো। আর তার দেহ দগ্ধ হচ্ছিলো।
এবার ভেবে দেখুন, কোনো নারীকে তার চুল ধরে টানা হলে তার অবস্থা কি হয়। তাহলে যে নারীকে তার চুলে ঝুলিয়ে রাখা হবে, তার অবস্থা কিরূপ হবে?
এছাড়াও সে এমন তীব্র তাপ অনুভব করবে যে, তার মস্তিষ্ক উতরাতে থাকবে।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন, সেই নারী দুনিয়াতে পর্দার ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দিত না্ যে সাজসজ্জা করে বাহিরে বের হওয়ার প্রতি খুব বেশী আগ্রহী ছিলো এবং উন্নতমানের ফ্যাশানবল পোশাক পরিধান করে গাইরে মাহরামকে দেখিয়ে বেড়াতো। সে নিজের মতো করে নিজের সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটাতো। কিন্তু কিয়ামত দিবসেই সে অনুমান করতে পারবে যে সে কত বড় পাপ করেছে।
সুতরাং যারা দুনিয়াতে পর্যার প্রতি কোনো প্রকার গুরুত্ব দেয় না। তারা আখেরাতে এমন করুন শাস্তি ভোগ করবে।