আঘাতজনিত ব্যথায় উষ্ণতা ভালো নয়। দেহের কোনো অংশ ফুলে গেলে, নীলচে হয়ে গেলে বা ত্বক ছড়ে গেলে উত্তাপ প্রয়োগ করবেন না। জীবাণু সংক্রমিত স্থানেও উত্তাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়।
প্রয়োগবিধি
- উত্তাপটা হতে হবে কোমল ও সহনীয়। আরামদায়ক উষ্ণতা বলতে যা বোঝায়, সেটিই উত্তাপ চিকিৎসার কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বেশি হলেই তা বেশি কার্যকর, এমনটা নয়। বরং তাতে হিতে বিপরীত হয়।
- মৃদু ব্যথা কিংবা পেশি শক্ত হয়ে থাকার সমস্যায় একটানা ১৫-২০ মিনিটে উত্তাপ চিকিৎসা নিতে পারেন (সারা দিনে এভাবে ৩ বার)
- মাঝারি ও তীব্র ব্যথার জন্য সময়টা বাড়াতে পারেন, তবে নির্দিষ্ট এক জায়গায় প্রয়োগ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে উষ্ণ পানির ধারায় শরীরের ওই অংশের পুরোটাই ভেজাতে পারেন ৩০-৬০ মিনিট।
- হিটিং প্যাড ব্যবহার করলে কম তাপমাত্রা দিয়েই শুরু করুন।
- হিটিং প্যাড বা হিটিং জেল ব্যবহারের সময় সরাসরি তা দেহের ত্বকের সংস্পর্শে রাখবেন না, ওই স্থানের ত্বকের ওপর আগে একটি তোয়ালে জড়িয়ে নিন।
সতর্কতা
- উত্তাপে আরাম পাবেন নিশ্চয়ই। তবে অতিরিক্ত সময় ধরে উত্তাপ নেবেন না। অতিরিক্ত তাপমাত্রাও দেহের জন্য ক্ষতিকর। আপনি হয়তো সাময়িকভাবে আরাম পেলেন, কিন্তু এদিকে আপনার ত্বক পুড়ে যেতে পারে অতিরিক্ত সময় ধরে উত্তাপ নেওয়ার কারণে কিংবা অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে।
- হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে করতে ঘুমিয়ে পড়বেন না।
- বৈদ্যুতিক হিটিং প্যাড সংরক্ষণ করতে হবে সাবধানে। হিটিং প্যাডের বৈদ্যুতিক তারে কোনো সমস্যা থাকলে সেটি ব্যবহার করবেন না।
- ভেজা শরীরে বৈদ্যুতিক হিটিং প্যাড ব্যবহার করবেন না।
- ডায়াবেটিস রোগী, স্নায়ু দৌর্বল্যের দরুন যাঁদের অনুভূতি কম, তাঁদের উত্তাপ চিকিৎসা নেওয়ার সময় বেশি সতর্ক থাকতে হবে। নয়তো নিজের অজান্তে পা পুড়িয়ে ফেলতে পারেন।