ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফুটবল আসর কোপা আমেরিকার শিরোপা জিততে পারেনি মেসির আর্জেন্টিনা। আসরের ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চিলি।
এবারও ফাইনালে মুখোমুখি চিলি-আর্জেন্টিনা। গত বছরের মতো এবারও নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশূণ্য ড্র। শিরোপা নির্ধারণী টাইব্রেকারে আবারও হতাশ হতে হলো আর্জেন্টিনাকে। ৪-২ ব্যবধানের জয় দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে নিল চিলি।
প্রথমার্ধে দুই দলের ফুটবলারদের চেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন রেফারি। বিতর্কিত সব সিদ্ধান্তের ফলে ৪৩ মিনিটের মধ্যেই দুই দলেরই একজন করে ফুটবলার চলে যান মাঠের বাইরে। ২৮ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন চিলির মিডফিল্ডার মার্সেলো ডিয়াজ। হলুদ কার্ড দেখার মতো অপরাধ তিনি করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক উঠতেই পারে। ৪৩ মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখেছেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্কোস রোহো। যদিও পরে টেলিভিশন রিপ্লে থেকে দেখা গেছে যে সরাসরি লাল কার্ড দেখার মতো কোনো ফাউলই তিনি করেননি।
প্রথমার্ধে একবারও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি চিলি। গোলপোস্ট লক্ষ্য করে নিতে পারেনি একটি শটও। অন্যদিকে ২৩ মিনিটের মাথায় গোল করার মোক্ষম এক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন গঞ্জালো হিগুয়েইন। চিলির ডিফেন্ডারের ভুলে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। সামনে গোলরক্ষক ছাড়া আর কেউই ছিল না। কিন্তু চিলির গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভোকে ফাঁকি দিয়ে বলটা জালে জড়াতে পারেননি হিগুয়েইন। দুই মিনিট পরে নিকোলাস ওটামেন্ডির দারুণ হেড চলে গেছে চিলির গোলপোস্টের কিছুটা বাইরে দিয়ে।
দশ জনের দল নিয়ে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দারুণ উত্তেজনা ছড়িয়েছেন চিলি ও আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। ৮০ মিনিটের মাথায় গোলের দেখা পেয়ে যেতে পারত চিলি। কিন্তু আলেক্সিস সানচেজের শট রুখে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো। ৮৪ মিনিটে নিশ্চিত একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন সার্জিও অ্যাগুয়েরো। গোলপোস্টের একেবারে সামনে বল পেয়েও সেটা জালে জড়াতে পারেননি এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। বল পাঠিয়ে দিয়েছেন গোলপোস্টের অনেক ওপর দিয়ে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূণ্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়ের খেলায় দেখা গেছে আরও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে দুই দলই পেয়েছিল জয়সূচক গোল করার সুযোগ। ৯৯ মিনিটের মাথায় চিলির ফরোয়ার্ড এদুয়ার্দো ভার্গাসের হেড রুখে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক রোমেরো। পাল্টা আক্রমণ থেকে আর্জেন্টিনাও আতঙ্ক ছড়িয়েছিল চিলির রক্ষণভাগে। মেসির ফ্রি-কিক থেকে হেড করেছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। কিন্তু অসাধারণভাবে সেই হেড থেকে আসা বলটা গোলপোস্টের ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন চিলির গোলরক্ষক ব্রাভো।