সোমবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৪ রানে হারিয়ে প্লে-অফ খেলা নিশ্চিত করে ফেলে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। মঙ্গলবার লখনউ সুপার জায়ান্টের কাছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৫ রানে হেরে গেলে শীর্ষস্থানও নিশ্চিত হয়ে যায় হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাটের। নিচের দিক থেকে দিল্লি ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্সের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। বাকি সাতটি দলই এখন প্লে-অফের বাকি তিনটি টিকিটের জন্য লড়াই করছে, যদিও এর মধ্যে কারো সম্ভাবনা বেশি, কারো কম।

পয়েন্ট টেবিলে দশ দলের অবস্থান—গুজরাট (১৩ ম্যাচে ১৮), চেন্নাই সুপার কিংস (১৩ ম্যাচে ১৫), লখনউ (১৩ ম্যাচে ১৫), মুম্বাই (১৩ ম্যাচে ১৪), রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (১২ ম্যাচে ১২), রাজস্থান রয়্যালস (১২ ম্যাচে ১২), কলকাতা নাইট রাইডার্স (১৩ ম্যাচে ১২), পাঞ্জাব কিংস (১২ ম্যাচে ১২), সানরাইজার্স (১২ ম্যাচে ৮), দিল্লি ক্যাপিটালস (১২ ম্যাচে ৮)।
আজ রাত ৮টায় দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে পাঞ্জাব কিংস। এরই মধ্যে বিদায় নেয়া দিল্লি শুধু গৌরবের জন্যই জিততে চাইবে। আর প্লে-অফের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে হলে পাঞ্জাবকে জিততেই হবে। এরপর শুক্রবার রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে খেলবে পাঞ্জাব। এই দুটি ম্যাচই জিতে গেলে শিখর ধাওয়ানদের দেখা যেতে পারে প্লে-অফে।

‘যদি-কিন্তু’র সমীকরণ এখনো আশা বাঁচিয়ে রেখেছে কলকাতা কিংবা পাঞ্জাবের। তবে কোনো অঘটন না হলে চেন্নাই, লখনউ ও মুম্বাই সম্ভবত বাকি তিনটি শূন্যপদ পূরণ করবে। চারবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই শনিবার শেষ ম্যাচ খেলবে দিল্লির বিপক্ষে, একইদিন ইডেনে কলকাতার মুখোমুখি হবে লখনউ। রোববার বিকালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সানরাইজার্সকে হারিয়ে সরাসরি প্লে-অফের টিকিট পেতে পারে সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই।
আগামী মঙ্গলবার শুরু হবে প্লে-অফের লড়াই। এক ও দুই নম্বর দল খেলবে কোয়ালিফায়ার-১ ম্যাচ। বিজয়ী দল সরাসরি উঠে যাবে ফাইনালে। বুধবার এলিমিনেটর ম্যাচে লড়বে টেবিলের তিন ও চার নম্বর দল। বিজয়ী দলটি কোয়ালিফায়ার-২ ম্যাচে মুখোমুখি হবে কোয়ালিফায়ার-১ ম্যাচে পরাজিত দলের। এই ম্যাচের বিজয়ী দল পাবে ফাইনালের টিকিট। ২৮ মে আহমেদাবাদে ফাইনাল।
