ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন,ঘূর্ণিঝড় রোয়ানোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে।
কোন মানুষকে না খেয়ে কষ্ট করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘ঘরবাড়ি নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরহারা মানুষেরা সাইক্লোন সেল্টারে থাকবে, সরকারিভাবে তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিধ্বস্ত সকল রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুন:নির্মাণ করা হবে।’
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আজ ভোলা জেলার ঘূর্ণিদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে দুর্গত সকল এলাকার মানুষের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ,জেলা প্রশাসক সেলিম উদ্দিন, লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, তজুমুদ্দিন উপজেলা’র চেয়ারম্যান মোঃ জসিমসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী তজুমুদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। এখানকার অধিকাংশ ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গেছে। মন্ত্রী এ সময়ে ভেঙ্গে যাওয়া ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ করেন।
ত্রাণমন্ত্রী এ সময় তজুমুদ্দিন, লালমোহন ও বোরহান উদ্দিন উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অংশগ্রহণ করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে গৃহ নির্মাণের ঢেউটিন ও অর্থ সহায়তা পেতে দ্রুত প্রস্তাব পাঠানোর জন্য মন্ত্রী এ সময়ে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
তিনি লালমোহন ও সদর উপজেলার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করেন যে, স্থানীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ রয়েছে। ধৈর্যসহকারে শৃংখলা মেনে সেগুলো সংগ্রহ করতে হবে। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সামগ্রী মজুদ রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল এলাকার দুর্গত মানুষকেই ত্রাণ সহযোগিতা করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ রিপোর্ট প্রেরণের জন্য তিনি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যও আহবান জানান।
চট্রগ্রাম, কক্সবাজার ও ভোলার দুর্গত এলাকা পরির্দশনের পর আগামী শনিবার ত্রাণমন্ত্রীর নোয়াখালী জেলার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করার কথা।