জয়পুরহাটে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে আজাদ হত্যা মামলার দুই আসামী পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল। বন্দুকযুদ্ধে নিহত সোহেল হোসেন ও মুনির হোসেন একই উপজেলার বাসিন্দা।
গত ৪ জুন জয়পুরহাটের দুর্গাদহ বাজারের কাছে একদল মুখোশধারী হামলাকারী ভাদসা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদকে কুপিয়ে ও গুলি করে আহত করে।
আটদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার তিনি মারা যান। নিহত দুইজন এ কে আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।
এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অশোক কুমার পাল জানান, ”নিহত চেয়ারম্যানের বাড়িতে পুনরায় হামলা করতে একদল সন্ত্রাসী স্থানীয় গোপালপুর গ্রামের মাঠে জড়ো হচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহল টিম যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধে দুই সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সেখান থেকে একটি পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে তিনি জানান। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন এ কে আজাদ এবং ৩১ মার্চের অনুষ্ঠিত ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আর অজ্ঞাতনামা আরো সাতজনকে আসামী করে মামলা করা হয়।