সম্প্রতি সাড়াদেশে নিখোঁজ থাকা কয়েকজনের জঙ্গি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার পর ‘নিখোঁজ’ ব্যক্তিদের বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে জানা গেল, মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজ এক কলেজ ছাত্রীকে ‘সন্দেহভাজন জঙ্গি’ হিসেবে তুলে ধরে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও, সেই মেয়েটি পরিবারের অজান্তে বিয়ে করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
নিখোঁজ ছাত্রীটি জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়েছে বলে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে তার মায়ের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে খবর প্রচার করা হয়েছিল।
ওসি সায়েদুর রহমান জানান, “মেয়েটির মা তার মেয়ের নিখোঁজের খবর জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি করার পর আমরা খোঁজ-খবর শুরু করি। এর মাঝে তিনদিন আগে আমরা শুনলাম সংবাদপত্র এবং এনটিভির সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করেন। আমরা কিছু জানিনা। তারা আমাদের কাছে কোন কিছু জানতে চাননি। শুনলাম এনিটিভিতে একটি ডকুমেন্টারি প্রচারিত হচ্ছে। দেখলাম একটু। পরে মেয়েটির অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করি”।
পরে মেয়েটির বাবা-মাই একটি ছেলের খোঁজ দেন। সেই ছেলেটির কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ করলে মেয়েটি পরে নিজেই থানায় এসে জানায় যে, বাবা-মার অমতে বিয়ে করে বাড়ি ছে পালিয়ে গিয়েছিল। তার জন্য যেন কাউকে হয়রানি করা না হয়।
তার স্বামীর অফিসে যখন যোগাযোগ করা হয় তখনই তিনি বিষয়টি জানতে পারেন বলে জানান।
তার মায়ের যে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে সেটি তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে দেখেছেন বলে জানান।
আগে কখনো কোনও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন কি-না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “ না না কখনই আমি ছিলাম না। আমি একজন স্টুডেন্ট”।