জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দেশের সুনাম সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এক্ষেত্রে কোন রকম অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ড বরদাশত করবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ হচ্ছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন কোন অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ড আমরা বরদাশত করবো না।’ ‘আমরা চাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে। যে যেখানেই নিয়োজিত থাকুন না কেন নিজেদের দায়িত্ব মর্যাদার সঙ্গে পালন করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) ২০১৫-’১৬ কোর্সের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। মিরপুর সেনানিবাসের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে এই অনুষ্ঠানে তিনি গ্রাজুয়েটদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান-কি মুন’র উদ্বৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করে বলেছেন, এই কার্যক্রমে বাংলাদেশ নেতৃত্বের স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ।
তিনি বলেন, বিশ্বে মোট শান্তিরক্ষীর ১০ জনের ১ জন বাংলাদেশের। ১৯৮৮ সালে এ মিশন শুরুর প্রথম বছর ‘পর্যবেক্ষক’ থেকে পরবর্তীতে পরিচালিত মোট ৬৬টি মিশনের মধ্যে বাংলাদেশ ৪৫টিতে অংশ নেয়। বর্তমানে পরিচালিত ১৬টি মিশনের ১১টিতে বাংলাদেশের ৮ হাজার ৫০১ শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন ।
সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের জাতীয় সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাহিনী স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ক্ষমতা কাঠামোর অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। বাসস