জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে অব্যাহতি দিয়ে তার বদলে রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করার ঘোষণা দেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তিনিই দলের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বলে সাফ জানিয়ে দেন।
পার্টির শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে, দলের স্বার্থে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে মি. এরশাদ জানান।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়েই জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে মহাসচিব করা হয়েছিল।
মি. এরশাদ বলেন, ‘যখন আমি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তখন কোন প্রশ্ন হয় নাই। কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতা বলে সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আমার আছে।‘
তিনি বলেন, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু দুইবছর মহাসচিব ছিলেন। কিন্তু কোন বর্ধিত সভা করতে পারেন নাই। আমার ঘোষণার পর, আমার সিদ্ধান্ত অমান্য করে পার্টির ভেতর বিভাজন করার চেষ্টা করেছেন। পার্টির শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে, দলের স্বার্থে তাকে মহাসচিব পদ থেকে আমি অব্যাহতি দিলাম।‘
রোববার রংপুরে একটি সংবাদ সম্মেলনে ভাই জি এম কাদেরকে দলের কো চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন এরশাদ।
কিন্তু সোমবার দলের নেতাদের একটি অংশ ওই সিদ্ধান্তকে গঠনতন্ত্র বহির্ভূত বলে ঘোষণা করে।
সেই সঙ্গে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
জাতীয় পাটির প্রধান বলেন, ‘আমার স্ত্রী রওশন এরশাদ কোন প্রেসিডিয়াম মিটিং ডাকেন নাই। পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে প্রেসিডিয়াম মিটিং ডাকার এখতিয়ার একমাত্র আমার আছে। তাই তাদের মিটিং কোন প্রেসিডিয়াম মিটিং নয়, সেখানে কোন সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
পরবর্তী কাউন্সিল মিটিংয়ে এসব সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে আজই দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন সংসদে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ।
দলীয় ফোরামে আলাপ আলোচনা না করে এভাবে কেন দলে রদবদল করছেন, এই প্রশ্নের জবাবে মি. এরশাদ বলেন,দলীয় গঠনতন্ত্রে আমাকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টি ভাগ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি জানিয়ে দেন।
১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি এরশাদ জাতীয় পার্টি গঠন করেন।
এ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কয়েক দফা ভাগ হয়েছে।
সংসদে বিরোধী দলে থাকলেও দলটির তিনজন নেতা সরকারের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মি. এরশাদ নিজেও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্বে রয়েছেন।