জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপে সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝর ‘নানমাডল’ আঘাত হানতে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘নানমাডোল’ পূর্বদিকে ঘুরবে এবং মঙ্গলবার টোকিও পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এনএইচ সম্প্রচারকারী বলেছে, শক্তিশালী টাইফুন নেমে আসায় দক্ষিণ জাপানের অন্তত চার মিলিয়ন মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে টোকিওর দিকে যাত্রা করবে এবং সেই সাথে তার শক্তি বজায় রাখতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কিউশু জুড়ে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
শক্তিশালী বাতাস এবং ভারী বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যস্ত হয়েছে এবং স্থল ও বিমান পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা আহত হওয়ার খবর জানায়নি।
জাপানে ঘূর্ণিঝড় ‘নানমাডোল’ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১৪তম টাইফুন।এটি জাপানের সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড়। জাপানের আবহাওয়া সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এটি ২০১৮ সালের টাইফুন ‘জেবি’র চেয়েও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, সুপার টাইফুন ‘নানমাডল’ ইয়াকুশিমার দক্ষিণ দ্বীপের কাছে ছিল, সর্বোচ্চ ঘন্টায় ১৮০ কি.মি./১১২ মাইল বেগে ভূপৃষ্ঠের বাতাস বইছিল। এটি ধীরে ধীরে উত্তরে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এবং দক্ষিণতম দ্বীপ কিউশুতে রয়েছে।
ব্যাপক বন্যা এবং ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে, বুলেট ট্রেন পরিষেবা, ফেরি এবং শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কিউশু হল চারটি দ্বীপের দক্ষিণে যা জাপানের প্রধান অংশ তৈরি করে ১ কোটি ৩০ লক্ষ জনসংখ্যারও বেশি বসবাস।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, নানমাডোল প্রবল বৃষ্টিপাত, উপকূলে ঝড় বয়ে আনবে এবং শক্তিশালী বাতাসের কারণে বাড়িঘর ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। টাইফুনটি এখন কিউশু জুড়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে, দ্বীপের পাহাড়ী কেন্দ্রে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।