জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-এর আমন্ত্রণে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ প্রোগ্রাম-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিলো অত্যন্ত সফল এবং দেশের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আস্থা ও সম্মানের প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উন্নয়ন চিন্তা ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক ও বিশ্ব-কাঠামোয় টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও ধারণার বিষয়ে জি-৭ নেতৃবৃন্দের সম্যক ধারণা ও সমর্থন অর্জনের জন্য জি-৭ সম্মেলনে আমার অংশগ্রহণ ছিলো একান্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গত ২৬ থেকে ২৯ মে জাপান সফর করে প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ইসে-সীমাতে জি-৭ আউটরিচ প্রোগ্রামে তার আমার প্রারম্ভিক বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন দর্শন ও তার সফল বাস্তবায়নের ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত ও এর মৌলিক উপাদানগুলো তুলে ধরা হয়। এতে বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেলের পেছনে সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণের বিষয়টি মুখ্য বলে চিহ্নিত করা হয়। তিনি বলেন, আমি উল্লেখ করেছি, জনগণের কল্যাণই আমার রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য।
তিনি বলেন, জি-৭ নেতৃবৃন্দের কাছে আমি স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং উন্নত অবকাঠামো বিনির্মাণে সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট চারটি মৌলিক বিষয়ে বাংলাদেশের অর্জন ও অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ এবং তার মোকাবেলায় জি-৭ এর সম্ভাব্য করণীয় বিষয়ে আমাদের ভাবনার কথা তুলে ধরেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি একই সাথে অবকাঠামো খাতে, বিশেষত পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও দুর্যোগ-অভিযোজনশীল অবকাঠামো সেবা এবং পরিবেশ-বান্ধব এবং পরিবেশ-প্রতিকূলতা মোকাবেলায় সক্ষম জ্বালানি ও যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর আমরা বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছি।
তিনি বলেন, এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে, বিশেষত মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং সমাজের ভাগ্যবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায়, আমার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বৈঠকে উপস্থিত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সামনে তুলে ধরেছি। আমি সমাজের প্রতিটি স্তরে যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার বিষয়ে আমার সরকারের দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছি। আমি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নারী সমাজের ক্ষমতায়ন বিষয়টি তুলে ধরেছি এবং বাংলাদেশের অগ্রগতিতে নারী সমাজের ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের ভূমিকার বিষয়টি আলোচনায় এনেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি উল্লেখ করেছি যে, বৈশ্বিক পরিমন্ডলে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে আমরা তিনটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেছি। এসব হচ্ছে, রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতিকাঠামো নির্ধারণে নারীর ভূমিকা, নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি ও পুঁজি সঞ্চয়ন- বিশেষত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে সাফল্য এবং সমাজে নারীর অধিকার এবং মর্যাদা।
তিনি বলেন, বৈঠকে আমি জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিযোজন সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেছি। গত ডিসেম্বরে প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন ইউএনএফসিসি সিওপি-এ বিদ্যুৎ, শিল্প এবং যোগাযোগ খাতে বাংলাদেশের স্বেচ্ছামূলক ৫ শতাংশ কার্বন নির্গমন হ্রাস বিষয়ক প্রতিশ্রুতির কথাও আমি পুনর্ব্যক্ত করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০, এলডিসি, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসনের মতো ইস্যুতে সমসাময়িক কালে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন বিশ্বজনীন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ এবং ফ্রেমওয়ার্কে নেতৃত্ব প্রদান করছে। বিষয়্িট জি-৭ নেতৃবর্গের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে এবং এরই ফলশ্রুতিতে এই শীর্ষ সম্মেলনে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ইসে-সীমাতে আমার বক্তব্যসমূহ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছেন। এরই প্রতিফলন হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের শুরুতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে আমার বক্তব্যের রেশ ধরে বলেন যে, ইউর ইন্টারভেনশনস এ্যান্ড কন্ট্রিবিউশনস হেল্পড লিড আওয়ার ডিসকাশনস এ্যাট জি-৭ এ্যান্ড আল্টিমেটেলি, ইউর আইডিয়া হেল্পড ক্রেট দ্য কি কম্পোনেন্টস অব দ্য আউটকাম ডকোমেন্ট’। জি-৭ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ চূড়ান্তভাবে যেসব ঘোষণাপত্র গ্রহণ (এডপট) করেন, সেসব ঘোষণাপত্রসমূহে আমার তথা বাংলাদেশের বক্তব্যের উল্লেখ্যযোগ্য প্রতিফলন দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জি-৭ সম্মেলন উপলক্ষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে গত ২৮ মে আমি জাপানের নাগোয়া শহরে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হই জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারকে সর্বোতভাবে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এই আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অবকাঠামোগত সহায়তা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, প্রযুক্তিখাতে সহযোগিতাসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। জাপানের প্রধানমন্ত্রী এই সময়ে বাংলাদেশ নেতৃত্বের প্রতি তাঁর ও তাঁর সরকারের গভীর সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিকট ভবিষ্যতে আরও নিবিড় ও গতিশীল হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জাপানের উন্নয়ন সহযোগিতা ঋণের ৩৬তম ও ৩৭তম বরাদ্দের আওতাভুক্ত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছি। এর মধ্যে ছিলো- মাটারবারি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা-মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, কনস্ট্রাকশন অব রেলওয়ে ব্রিজ ওভার যমুনা রিভার এবং ইকোলজিক্যাল রিস্টরেশন অব আওয়ার রিভারস এরাউন্ড ঢাকাসহ কয়েকটি প্রকল্প। আমরা বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিআইজি-বি) মহাপরিকল্পনার আওতায় মহেশখালী-চট্টগ্রাম অক্ষে জ্বালানী, যোগাযোগ, শিল্প এবং নগরায়নের বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ এবং নতুন তৃতীয় টার্মিনাল তৈরির বিষয়ে আলোচনা করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন বর্তমান টার্মিনালটি সম্প্রসারণের কাজ যাতে ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ হয়, সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই জাপানের প্রশাসনিক কাঠামোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনাল তৈরির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঢাকা থেকে ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার দুরত্বে পদ্মা সেতুর কাছাকাছি স্থানে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, এই বিমানবন্দর দেশের অভ্যন্তরে পূর্ব ও পশ্চিম-এর সংযোগ ছাড়া এতদ্বঅঞ্চলের সন্নিহিত এলাকায় আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধিতে এক নতুন দিক উন্মোচন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমি জ্বালানি সাশ্রয়, ন্যানোটেকনোলজী ও সমুদ্র খাতসহ বাংলাদেশর জন দক্ষতাবৃদ্ধি বিষয়ে জাপানের সঙ্গে আরও গভীর পর্যায়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছি। আমি জাপান রিভিটেলিসেশন স্ট্রেটেজি’র আলোকে জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর খাতসমূহে দুই দেশের মধ্যে সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়ে জাপান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমি ব্লু ইকোনমি খাতে, বিশেষত ডিপ সি ফিশিং বিষয়ে অধিকতর জাপানি বিনিয়োগ সহায়তার প্রস্তাব করেছি। প্রত্যুত্তরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সবগুলো বিষয়ে যথোপযুক্ত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জাপানের জেবিক এবং জাইকাসহ অন্যান্য সংস্থাকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বাংলাদেশের জাপানের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেছি এবং পরিকল্পনাধীন একশ’র ওপর বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য জাপানি বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছি। আমি জাপানি বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য আবার জাপানে কিনে নেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে অনুরোধ জানায়। প্রধানমন্ত্রী আবে এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার (বাই-ব্যাক অ্যারেঞ্জমেন্ট) জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও উল্লেখ্য আমি ২৯ মে পূর্বাহ্নে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় জাপানের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসা এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবর্গের সাথে বাংলাদেশে জপানি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চলমান উদ্যোগসমুহের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই আলোচনায় জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের বিভন্ন দিক উঠে আসে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেছি। বিদ্যমান বিনিয়োগ ক্ষেত্রগুলোর বাইরে পাটের জেনোমলব্ধ জ্ঞানের শিল্প ক্ষেত্রে প্রয়োগ, হালকা প্রকৌশল শিল্প, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং প্রায়োগিক সফটওয়্যার ডিজাইন ইত্যাদি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে আমি জাপানি উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ জানায়।
তিনি বলেন, এছাড়াও জি-৭ বৈঠক শেষে ২৭ মে ২০১৬ অপরাহ্নে আমি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হই। বৈঠকের শুরুতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে বাংলাদেশর অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশেষ করে এই বছরে অর্জিত ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ ও এই বিষয়ে আরও জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা মোকাবেলা করে বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে যে কৌশলগত পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ক্রমশ এগুচ্ছে এবং জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করছে, তা বৈঠকে উঠে আসে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এই সময়ে বলেন, ‘ব্রিটেন ওয়েন্টস টু রিমেইন এ পার্ট অব বাংলাদেশ সাকসেস স্টোরি’। এই বৈঠকে আমরা বাণিজ্যসহ অন্যান্য দ্বি-পাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২৮ মে আমি শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা’র সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হই। এই সময়ে দুইদেশের মধ্যেকার বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। আমি এই সময়ে শ্রীলংকার সাম্প্রতিক বন্যায় জানমালের ক্ষতিতে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছি এবং ঔষধ, জরুরি খাদ্যসামগ্রী, তাঁবু সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি। ত্রাণ সহায়তার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন শ্রীলংকা সবসময়ই বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি নেতৃত্বশীল দেশ হিসেবে দেখে আসছে। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন মডেলের কার্যকারিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাসস