24 C
Bangladesh
Sunday, March 26, 2023
Homeজাতীয়জুডিসিয়াল সার্ভিসের নতুন বেতন কাঠামো মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

জুডিসিয়াল সার্ভিসের নতুন বেতন কাঠামো মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

20বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভায় নিয়মিত এক সাপ্তাহিক বৈঠকে আজ সোমবার জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫’র আলোকে জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের নতুন বেতন স্কেলের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ব্রিফকালে সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় বেতন কাঠামো কমিটির সুপারিশের সামান্য পুনর্বিন্যাস করে জুডিসিয়াল সার্ভিসের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের বেতন কাঠামোর চেয়ে নতুন কাঠামোর আনুপাতিক হারে বেতন বেড়েছে।
নতুন কাঠামোয় একজন সিনিয়র জেলা জজ একজন সচিবের সমান বেতন পাবেন। এতে স্কেল হবে ৭৮ হাজার টাকা (নির্ধারিত)। ২০০৯ সালের বেতন কাঠামোয় যা ৪০ হাজার টাকা। জেলা জজদের স্কেল হবে ৭০ হাজার ৯২৫ টাকা থেকে ৭৬ হাজার ৩৫০ টাকা। ২০০৯ সালের বেতন কাঠামোয় এর পরিমাণ হচ্ছে ৩৬ হাজার থেকে ৩৯ হাজার ৬শ’ টাকা।
২০০৯ সালের বেতন কাঠামোয় অতিরিক্ত সেশন জজ ও সমমানের জজগণ ৩২ হাজার থেকে ৩৭ হাজার টাকা স্থলে নতুন স্কেলে পাবেন ৬২ হাজার ৩৫০ থেকে ৭৫ হাজার ৮৮০ টাকা।
যুগ্ম জজ ও সেশন জজগণের বেতন হবে ৫৪ হাজার ৩৭০ টাকা থেকে ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকা। ২০০৯ সালের বেতন স্কেলে যা হচ্ছে ২৮ হাজার থেকে ৩৭ হাজার টাকা।
সিনিয়র সহকারী জজ ও সমমানের জজদের ২০০৯ সালের কাঠামোর স্কেল হচ্ছে ২৩ হাজার থেকে ৩৪ হাজার ২শ’ টাকা। নতুন স্কেলে তারা পাবেন ৪৪ হাজার ৪৫০ থেকে ৭২ হাজার ২১০ টাকা।
নতুন কাঠামোয় সহকারী জজগণ পাবেন ৩০ হাজার ৯৩৫ থেকে ৬৪ হাজার ৪৩০ টাকা। ২০০৯ সালের কাঠামোয় এর পরিমাণ হচ্ছে ১৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার ৬শ’ টাকা।
জাতীয় বেতন কাঠামোর সময় ও বিধান মোতাবেক অনুমোদিত এ বেতন কাঠামো কার্যকর হবে। তারা বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মতো ২০১৫ জুলাই থেকে নতুন স্কেলে বেতন ও ২০১৬ সালের জুলাই থেকে অন্যান্য ভাতা পাবেন।
এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন-২০১৬ নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে।
প্রাচীন ও শতাব্দী প্রাচীন গাছ সংরক্ষণের জন্য বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন প্রণীত হয়েছে। এ আইনে সম্ভাব্য জীবনচক্রের কাল অতিবাহিত হলেও পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে সংরক্ষিত ও অন্যান্য বনাঞ্চলে প্রাচীন বৃক্ষ সংরক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চা আইন-২০১৬ হচ্ছে একটি সংশোধিত আইন। সামরিক শাসনামলের এই আইনটি উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হওয়ার প্রেক্ষাপটে এটি পুনঃস্থাপন করা হয়। এটি হচ্ছে মূলত পূর্ববতী আইনের বাংলা সংস্করণ। তবে এতে চা বোর্ডের কর্মকান্ড ও ব্যবস্থাপনার নতুন কিছু দৃষ্টিভঙ্গি সংযুক্ত হয়েছে। (বাসস)

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

Most Popular

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

Recent Comments