২০১৬ সালে কোটি কোটি মানুষ ভোট দেবেন৷ ইরানে হবে সংসদীয় নির্বাচন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ এছাড়া থাকছে আরো অনেক ছোট-বড় ব্যালট৷
১৬ জানুয়ারি: তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বলতে বস্তুত চীনের প্রতি তাইওয়ানের নীতি নির্ধারণ! বেইজিং-এর সঙ্গে তাইপে-র সম্পর্ক উত্তেজনায় ভরা৷ গত নভেম্বরে উভয় দেশের নেতারা পরস্পরের সঙ্গে প্রথমবার মিলিত হন৷ পর্যবেক্ষকদের মতে চীন এই সাক্ষাতের মাধ্যমে তাইওয়ানের ভোটারদের ক্ষমতাসীন কেএমটি দলের দিকে ঝোঁকানোর চেষ্টা করেছে৷
১৮ ফেব্রুয়ারি: উগান্ডায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
উগান্ডায় ভোটাররা আরো বেশি ভোট বিমুখ হচ্ছেন৷ ২০০১ সালে প্রেসিডেন্ট ইওভেরি মুসেভেনি তখনও জনপ্রিয় ছিলেন, কাজেই প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে গিয়েছিলেন৷ ২০১১ সালে তা চলে যায় ৬০ শতাংশেরও নীচে৷ এবার তা আরো কমবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা৷ মুসেভেনি একটি পঞ্চম কর্মকালের জন্য ভোটে দাঁড়াচ্ছেন৷ জিতলে তাঁর শাসনকাল গিয়ে দাঁড়াবে সর্বসাকুল্যে ৩০ বছরে৷ অথচ তাঁর শাসনে দেশের দরিদ্র মানুষদের অবস্থার বিশেষ উন্নতি ঘটেনি৷
২৬ ফেব্রুয়ারি: ইরানে সংসদীয় নির্বাচন
২০১৫ সালের জুলাই মাসে যে পরমাণু চুক্তি সম্পাদিত হয়, সংসদীয় নির্বাচনের উপর তার কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এবং মধ্যমপন্থিরা আরো বেশি আসন পাবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি গত মে মাসে একটি ভাষণে বলেন যে, ইরানের সব মানুষের ‘তাদের মত প্রকাশ করার’ স্বাধীনতা আছে৷ অপরদিকে সংসদে মৌলবাদীরা ২০০৪ সালে যাবৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ৷
২৬ ফেব্রুয়ারি: ফিফা-র বিশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
বিশ্বের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলির আন্তর্জাতিক ফেডারেশন ফিফা বিভিন্ন দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে টালমাটাল, যার পরিপ্রেক্ষিতে গত অক্টোবর মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটারকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে (ছবিতে এক বিক্ষোভকারী তাঁর দিকে নকল ডলার নোট ছুঁড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন)৷ নতুন প্রেসিডেন্ট একটি নবসূচনা করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷
২০১৬-র বসন্তে অস্ট্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
জার্মানির মতো অস্ট্রিয়াতেও প্রেসিডেন্টের প্রতীকী মূল্য তাঁর বাস্তবিক ক্ষমতার চেয়ে বেশি৷ প্রার্থীরা সরাসরি কোনো দলের না হলেও, প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো দলের সমর্থন আছে৷ যেহেতু অস্ট্রিয়ায় গত বছর বিপুলসংখ্যক উদ্বাস্তু এসেছেন, সেহেতু সামাজিক গণতন্ত্রীদের সমর্থিত প্রার্থী জিতবেন, নাকি দক্ষিণপন্থি ‘স্বাধীনতাপন্থি’ দলের সমর্থিত প্রার্থী জিতবেন, তা অনিশ্চিত৷
১০ এপ্রিল: পেরুতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
পেরুতে একজন প্রার্থী হবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবের্তো ফুজিমোরির কন্যা কেইকো ফুজিমোরি৷ আলব্যার্তো ফুজিমোরি ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল অবধি পেরুর প্রেসিডেন্ট ছিলেন৷ নব্বই-এর দশকে বামপন্থি গেরিলাদের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড ও অপহরণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে তাঁকে ২০০৯ সালে ২৫ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়৷
১৮ সেপ্টেম্বর: রাশিয়ায় সংসদীয় নির্বাচন
আদতে এই নির্বাচন হবার কথা শীতে, কিন্তু তা তিন মাস এগিয়ে আনা হয়েছে নাকি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের ‘সংযুক্ত রাশিয়া’ দলের লাভালাভের কথা ভেবে৷ সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের মানে নির্বাচনি অভিযান পড়বে গরমের ছুটির সময়, যার ফলে বিরোধী দলের প্রার্থীদের প্রচারণা সমস্যাকর হবে৷
৮ নভেম্বর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
যা কিনা স্বভাবতই সবচেয়ে বেশি নজর কাড়বে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশীল ব্যক্তি৷ ডেমোক্র্যাটদের মনোনয়নের জন্য লড়ছেন হিলারি ক্লিন্টন আর বার্নি স্যান্ডার্স৷ রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েক মাস ধরে প্রতিটি জরিপে এগিয়ে আছেন৷
ফাউ: নিউজিল্যান্ডের পতাকা নিয়ে গণভোট
এটাই কি হবে নিউজিল্যান্ডের নতুন পতাকা? নাকি উপরের বাঁ কোণে ইউনিয়ন জ্যাকের বদলে একটি ফার্ন গাছের পাতা দেখা যাবে, ছবিতে যেমন দেখাচ্ছে? মার্চ মাসে তিন সপ্তাহ ধরে ভোট চলবে এই নিয়ে৷
সূত্র: ডয়েচভেল