গাজীপুর টঙ্গীর এরশাদনগরে দুই জনকে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহত শরীফের মা ইয়ানুর বেগম।
মামলায় বিএনপি নেতা কামরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২জনকে আসামি করা হয়েছে।
টঙ্গী মডেল থানার ডিউটি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার রাতে নিহত শরীফের মা ইয়ানুর বেগম টঙ্গী থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এতে ১২ জনকে নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০-১২জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন এরশাদ নগর এলাকায় তার পরিচিত ১২জন পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে শরীফ হোসেন ও সহযোগী জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, শনিবার রাতে দূর্বৃত্তরা এরশাদ নগর ৪ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩২) ও মো. হারুন মিয়ার ছেলে জুম্মন মিয়াকে (২৪) ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। নিহত শরিফ, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের টঙ্গী ৪৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কর্মী এবং জুম্মন এলাকায় খেলনা বিক্রি করতো এবং অটো রিকশা চালাতো। জুম্মন বেশিরভাগ সময় শরিফের সঙ্গেই চলাফেরা করতো। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাদের জন্য অপু, সোহেল ও শাহীন আটক করা হয়েছে। শরীফের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বাকী আসামীদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।
নিহত শরিফের স্ত্রী রুনা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার বাসিন্দা শামীম ও হাসান রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা ঘরের বাইরে থেকে তালা আটকে রেখে গেছে। রবিবার সকালে তার স্বামী শরিফের সঙ্গে জুম্মনেরও খুন হওয়ার খবর পান তিনি। তিনি জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন।