পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দীদের কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত কারাগারে আজ স্থানান্তর করা হয়েছে। এ জন্য পুরনো কারাগার থেকে নতুন কারাগার পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার হোসেন আজ সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে বলেন, পুরো প্রক্রিয়া তিনি মনিটরিং করছেন।
তিনি বলেন, ভোর ৬টা থেকে বন্দী স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যা অথবা আগামীকাল নাগাদ তা শেষ হবে।
সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাসসকে জানান, সাড়ে ৮ হাজার বন্দীর মধ্যে ৬ হাজার বন্দীকে আজ ও আগামীকাল নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো ঝুঁকি এড়ানোর জন্য আগেই দেশের বিভিন্ন কারাগারে নারী, কিশোর, যুদ্ধাপরাধী ও অন্য ভয়ঙ্কর অপরাধীদের স্থানান্তর করা হয়েছে।’
বন্দী স্থানান্তর প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা ছাড়াও দুই কারা এলাকার চার পাশে এবং নতুন কেন্দ্রীয় কারাগার পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশের পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসান এ ব্যাপারে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান, ‘গোয়েন্দা রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পুরো প্রক্রিয়া আমাদের কড়া নজরদারি রয়েছে এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে বন্দী স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলছে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ এপ্রিল কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে ১৯৪ দশমিক ৪১ একর জমির ওপর নতুন এই কারাগার স্থাপন করা হয়। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু থেকে এর দূরত্ব ৫ কিলোমিটার।
সিনিয়র জেল সুপার জানান, পুরো কারাগার ২৫ ফুট উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা। কারাগারে প্রত্যেক কর্নারে ৪০ ফুট উঁচু ৪টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে। কারাগারের পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত।
নবনির্মিত কারাগারে হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, লন্ডি ও স্পিনিং মিল রয়েছে।
তিনি জানান, এ্ই কারাগারের সম্মুখভাগে একটি ভিজিটর রুম, জেল কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের জন্য পৃথক রুম, অফিসার্স ক্লাব, স্টাফ ক্লাব, স্কুল, মসজিদ ও সম্মেলন কক্ষ রয়েছে।বাসস