সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ১৯৫২ সালের ইমারত নির্মাণ আইনের ১২ ধারায় দেওয়া এ মামলার অভিযোগপত্রে মোট ১৮ জনকে আসামি করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ভবন মালিক সোহেল রানা, তার বাবা ও মাসহ ১৮ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী করা হয়েছে মোট ১৩০ জনকে।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মুস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর জন্য ২৩ অগাস্ট দিন ঠিক করে দেন।
বিপুল হতাহতের ঘটনায় বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া রানা প্লাজা ধসের তিন বছর পর এই প্রথম কোনো মামলায় আসামিদের বিচার শুরু হল অভিযোগ গঠনের এই আদেশের মধ্য দিয়ে।
এ মামলার আসামি ১৮ আসামির মধ্যে ১৩ জন এদিন এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা মামলার শুরু থেকেই পলাতক। এ আদালতে অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল জানান, উপস্থিত ১৩ আসামি আদালতের প্রশ্নের জবাবে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ‘ন্যায়বিচার’ চান।
তাদের পক্ষে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হলে বিচারক তা নাকচ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আসামিপক্ষে মামলার শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ, আমিনুল গণি টিটোসহ আরও কয়েকজন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আট তলা রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও হাজারখানেক শ্রমিক যারা ওই ভবনের পাঁচটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
এরপর ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনায় হত্যার অভিযোগে একটি, ইমারত বিধি না মেনে রানা প্লাজা নির্মাণের অভিযোগে একটি এবং দুদকের পক্ষ থেকে ভেবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়।
এর মধ্যে ইমারত বিধির মামলাটি দায়ের করেন রাজউক কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন। রানাসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় করা এ মামলার তদন্তে ভবনের নকশায় ত্রুটি, অনুমোদন না নিয়ে উপরের দিকে সম্প্রসারণ এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের তথ্য উঠে আসে।