নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননাসহ চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারুকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
শ্যামল কান্তি বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাকে বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা তাকে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিতে চাপ দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদউদ্দিন জানান, ইতিমধ্যেই তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাইলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া হবে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনা হয়। চিঠিতে বলা হয়, এসব ‘অবৈধ’ কাজ তিনি আগেও করেছেন এবং বহুবার সতর্ক করা হয়েছে। শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে আনা চারটি অভিযোগ হচ্ছে, ছাত্রদের ওপর শারীরিক নির্যাতন, বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে অর্থ সংগ্রহ, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি, বিদ্যালয়ে ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত থাকা এবং দেরি করে বিদ্যালয়ে আসা।
গত ১৩ মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্কুলের সামনের একটি মসজিদ থেকে হঠাত্ করেই মাইকে ঘোষণা করা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন এবং সেখান থেকে এলাকাবাসীকে স্কুল মাঠে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দলে দলে স্কুলে ঢোকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁরা স্কুলের দরজা ভেঙে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধর করে এবং তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হওয়ার পর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়। সংসদ সদস্য উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠবস করার শাস্তি দেন।