পাবনা জেলার হেমায়েতপুর এলাকায় একটি সেবাশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সাম্প্রতিক হত্যাকান্ডগুলোর সাথে এই হত্যার মিল রয়েছে। জঙ্গী তৎপরতা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পুলিশ যখন দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু করছে, তারমধ্যে অভিযানের প্রথম দিনেই এই হত্যাকান্ড ঘটে।
গত বছর থেকে দেশে নতুন মাত্রায় জঙ্গি তৎপরতা শুরু হয়। এর মধ্যে কেবল চলতি বছরের গত পাঁচ মাসেই বিভিন্ন জেলায় ১৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পুরোহিত, সাধু, বৌদ্ধ ভিক্ষু, খ্রিষ্টান ধর্মযাজক, শিয়া, লালনভক্ত, পীরের অনুসারী, সমকামীদের অধিকারকর্মী, ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পুলিশ ও জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। এসব ঘটনার বেশির ভাগেরই দায় স্বীকার করেছে আইএস (ইসলামিক স্টেট) ও আল-কায়েদার কথিত বাংলাদেশ শাখা আনসার আল ইসলাম। তবে পুলিশ বলছে, দেশীয় জঙ্গিগোষ্ঠী জেএমবি বা আনসার আল ইসলাম এসব ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন।
অবশ্য গত রোববার চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমদুা খানমকে হত্যা এবং সর্বশেষ গতকাল নিত্যরঞ্জন হত্যার দায় এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে এই হত্যাকান্ড ঘটে। নিত্যরঞ্জন পান্ডের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। ৬০ বছর বয়স্ক নিত্যরঞ্জন পান্ডে প্রায় ৩৫ বছর ধরে পাবনায় এই আশ্রমে কাজ করতেন ।