বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া প্রথম দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আনন্দ মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
ব্যাপক ভোটার উপস্থিতিতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, ‘আমরা মনে করি কয়েকটি জায়গায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে, তবে তা দুঃখজনক। রাতে কয়েক জায়গায় ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দুজনকে গুলি করেছে। যারা অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আমরা আজকে রাতেও অ্যাকশন নেব, কালকেও নেব।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘আমরা একটা জিনিস করতে পেরেছি। সেটা হলো সময় মতো নির্বাচন করা। আগে তো সময় মতো নির্বাচনই হতো না। সময় মতো নির্বাচন করতে পারা আমাদের বড় একটা অ্যাচিভমেন্ট।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আমরা কয়েক জায়গায় নির্বাচন স্থগিত করেছি। কারণ সেখানে অনিয়ম হয়েছে। যেখানে অনিয়ম হয়েছে, সেখানে নির্বাচন বন্ধ না করলে আপনারা বলতে পারতেন যে আমরা কোনো ব্যবস্থা নেইনি। যেহেতু আমরা কয়েক জায়গায় ভোট বন্ধ করেছি সেহেতু আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’
প্রথম পর্যায়ে ৭৫২টি ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল কিন্তু আদালতের আদেশে ২৭টির ভোট বন্ধ করেতে হয়েছে বলে জানান সিইসি। এর মধ্যে আগামীকাল বুধবার ১১ ইউপিতে এবং ২৭ মার্চ দুটি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানান তিনি। আজ দেশের মোট ৭১২টি ইউপির ভোটগ্রহণ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় অনিয়মের কারণে ৫৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান সিইসি।
দলীয়ভাবে এবারই প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এটা ঠিক হতে সময় লাগবে। আমরা ক্রমাগত উন্নতি করছি। আমাদের পক্ষে একা সম্ভব নয়। সবার সহায়তা দরকার।’
এর আগে বিকেলে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে তারা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে অন্তত ৫০টি ইউপির নির্বাচন বাতিলের অনুরোধ জানায়।NTV