জঙ্গিদের হামলায় আজ বুধবার সকালে পাকিস্তানের বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একজন অধ্যাপক নিহতসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ২০ জন। হামলার দায় স্বীকার করেছে তালিবানরা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এই হামলাকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, পাকিস্তানের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। যারা এই নির্দোষ শিশুদের হত্যা করছে, তাদের কোনও ধর্ম নেই”, মন্তব্য নওয়াজ শরিফের।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পাকিস্তানের সেনা জাওয়ানরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। জঙ্গিদের গুলির জবাবে পাল্টা গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনা। মৃত ২ জঙ্গি।
পুলিশ বলছে, তিন ঘন্টাব্যপী বন্দুকযুদ্ধ চলার পর এখন নিরাপত্তা বাহিনী বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রন নিয়েছে। তবে, সকাল সাড়ে নটার দিকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী। প্রথমেই তারা কয়েকটি বিকট বিস্ফোরণ ঘটায়। আতঙ্কিত শিক্ষক ও স্টাফরা পরীক্ষার হল এবং টয়লেটে আশ্রয় নেয়। অবরুদ্ধ শিক্ষার্থী এবং স্টাফদের নিরাপদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সরিয়ে নেবার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে কোন গণমাধ্যমকর্মীকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। ক্যাম্পাসের পেছন দিকে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গেষ্টহাউজ অবস্থিত তার দেয়াল বেয়ে হামলাকারীরা এসেছে বলে নিরাপত্তা বাহিনী ধারনা করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৪ সালে পেশোয়ারের কাছে তালিবানদের হামলায় ১৩০জন স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছিল যে জায়গায়, তার কাছেই অবস্থিত। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পেশোয়ারের সেনা স্কুলে হামলা চালিয়ে ১৩৪ প়ুডুয়াকে খুন করে তালিবানরা।