বলিউড সুন্দরীদের ছেড়ে এক বার পড়শি দেশের দিকেও চোখ ফেরান। পাকিস্তানের ফাওয়াদ খান বা আলি জাফরের মতো গুড লুকিং নায়কদের পাশাপাশি সেখানে দর্শক মাতাচ্ছেন মেহউইশ হায়াত বা মাহিরা খানের মতো ডাকসাইটে সুন্দরীরা। টেলি-সিরিয়ালের ছোটপর্দা ছাপিয়ে এঁদের অনেকেরই উত্তরণ বড়পর্দায়। মডেলিং বা ভিডিও জকি হিসেবে নাম করার পর অভিনয়ের টানে পেশা পরিবর্তন। অনেকে আবার উচ্চশিক্ষা শেষে পা রেখেছেন আর্কলাইটের আলোয়। পাকিস্তানের এমন সেরা ১০ সুন্দরী অভিনেতাদের সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন গ্যালারিতে।
১। ব্রিটেনের একটি ম্যাগাজিনের বিচারে টানা দু’বছর এশিয়ার ‘টপ টেন সেক্সিয়েস্ট’ উওম্যানের তালিকায় ছিলেন মেহউইশ খান। অভিনয় ছাড়া গানেও সমান পারদর্শী মেহউইশ।
২। ২০০৬-এ এমটিভি মোস্ট ওয়ান্টেড-এর হোস্ট হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়তার পর মাহিরা খানকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অভিনয়ের পাশাপাশি ভিডিও জকির ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
৩। মডেলিং দুনিয়া থেকে ড্রামা সিরিয়ালে পা দিয়েই একের পর এক অ্যাওয়ার্ড জিতে চলেছেন আয়েজা খান। গত বছরেই লাক্স স্টাইল অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
৪। সমসাময়িক কালে পাকিস্তানের প্রতিভাময়ী অভিনেতাদের অন্যতম সোহাই আব্রো। অভিনয় ছাড়াও নৃত্যশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় তিনি।
৫। মডেলিং করতে করতে অভিনয়ে পা দিয়েই সাড়া ফেলে দিয়েছেন সাবা কামার। ছোটপর্দায় নানা ধরনের চরিত্রে তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে।
৬। টেলি-সিরিয়ালে ঝড় তোলার পর এ বার বড়পর্দা মাতাতে তৈরি কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্নাতক উশনা খান। ২০১৪-এ সেরা উঠতি প্রতিভার পুরস্কার পান।
৭। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই পাকিস্তানের হাইয়েস্ট পেইড অভিনেতাদের অন্যতম সাজল আলি। তাঁর অভিনয়ের জেরে সুপারহিট একের পর এক টিভি সিরিয়াল।
৮। অসাধারণ অভিনয়ে স্ক্রিন মাতাচ্ছেন মায়া আলি। একগুচ্ছ টেলি সিরিয়ালে সুন্দরী মায়ায় মুগ্ধ পাক জনতা।
৯। টেলি-সিরিয়ালের ব্যস্ত নায়িকা সানা জাভেদ। ২০১১-এ ডেবিউ ফিল্মের পর নিষ্পাপ মুখের সানা ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের হটেস্ট নায়িকার তালিকায় রয়েছেন।
১০। থিয়েটারের মঞ্চ থেকে ভিডিও জকি। টিভি সিরিয়ালের পর সিনেমার পর্দা কাঁপাতে দেরী হয়নি মাওরা হোসেনের। পাকিস্তানের পর বলিউডেও ‘সনম তেরি কসম’ নিয়ে এন্ট্রি। ফিল্ম ফ্লপ করলেও চোখে পড়েছেন মাওরা। (আনন্দবাজার)