পায়েতের কড়া ট্যাকলে যখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন তখন গোটা মাঠে চোখের জল ফেলছিল পর্তুগালের সমর্থকরা৷ তখন কে জানত ম্যাচের পরে শেষ হাসি হাসবে পর্তুগালই৷ সেই রোনাল্ডোই ম্যাচ শেষে ট্রফি নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতবেন !
ফ্রান্সের প্যারিসের স্তাদো দ্য স্টেডিয়ামে রবিবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল।
প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন রোনালদো। সতীর্থরা হতাশ করেনি তারকা এই ফরোয়ার্ডকে। অতিরিক্ত সময়ে এডারের চমৎকার গোলে স্বাগতিকদের হতাশ করে ফের্নান্দো সান্তোসের দল।
শেষ পর্যন্ত মাঠে না থাকলেও স্বপ্ন পূরণ হলো ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। ফ্রান্সকে একমাত্র গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোর শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল। ইউরোর ফাইনালের ইতিহাসে এই প্রথম নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনো গোল হলো না।
ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ২০০৪ সালে পর্তুগিজ সমর্থকরা কাঁদেছিলেন৷ ফাইনালে উঠেও গ্রিসের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের৷ বারো বছর পরে অবশ্য সেই ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি হল না৷ বারো বছর পরে উল্টে ইতিহাস গড়ল পর্তুগাল৷ সিআর সেভেনরা লিখলেন নতুন ইতিহাস৷ নিজের দেশে ঘরের মাঠে অতিরিক্ত সময়ে গোল খেয়ে হেরে গেল ফ্রান্স৷ অনেক গোলের সুযোগ তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত রানার্সের দলেই নাম লেখাল দেঁশ-র দল৷ এদিকে ফ্রান্স এর আগে দুইবার শিরোপা জিতেছে।