বাংলাদেশ-ভারত ত্রিদেশীয় পাইপলাইন প্রকল্পটি দিল্লির প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিগত জোট সরকারের আপত্তির কারণে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশের সাথে উষ্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে প্রকল্পটি আবারো হাতে নিতে চাইছে ভারত।
এর আগে মিয়ানমারের গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নিতে চেয়েছিল ভারত। সে সময় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্ভব না হওয়ায় মিয়ানমারের ওই গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে নিয়েছে চীন। এখন রাশিয়া থেকে গ্যাস আনার উচ্চাকাক্সক্ষী প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে ভারত।
এ ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসবিষয়ক মন্ত্রী টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, রাশিয়া থেকে আমরা গ্যাস আনছি। এ জন্য সম্ভাব্য রুটগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করছি। মিয়ানমার-বাংলাদেশ-ভারত এ প্রকল্পের একটি রুট হতে পারে। তিনি বলেন, আসামের নুমালিগার রিফাইনারি থেকে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ডিজেল রফতানি শুরু হয়েছে। আমরা এখন ভুটান, মিয়ানমার ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে নতুন বাজার খুঁজছি।
রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস নেয়ার এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার কোটি রুপি। চলতি অর্থবছর বিনিয়োগের প্রথম কিস্তি হিসাবে ছয় হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভারতকে পেট্রোলিয়াম হাব-এ পরিণত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ‘হাইড্রোকার্বন ভিশন ২০৩০’ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো এ অঞ্চলের তেল ও গ্যাস উৎপাদন দ্বিগুণ করা, রিফাইনারির ক্ষমতা বাড়ানো এবং পাইপলাইন সম্প্রসারণ। শীর্ষনিউজ