‘রিজার্ভ থেকে অর্থপাচার হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে ব্যাংক যেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা অদক্ষতার পরিচয় বহন করে। ‘অর্থ পাচারের বিষয়ে আজই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে একটি বিবৃতি দেয়া হবে।’
আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাইবার আক্রমণে ৩৫টি ভুয়া পরিশোধ নির্দেশের মাধ্যমে ৯৫ কোটি ১০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা স্থানান্তরের প্রস্তাব পাঠানো হয়। তার মধ্যে ৩০টি নির্দেশ আটকানো সম্ভব হয়। তাতে ৮৫ কোটি ডলার বেহাত হওয়া প্রতিহত করা গেছে।
তবে পাঁচটি পরিশোধ নির্দেশের বিপরীতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় চলে যায়। তার মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে ২ কোটি ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।