বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে মংশৈউ চাক (৭৬) নামে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বাইশারী উপরচাক পাড়া বৌদ্ধ ক্যাং-এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে পাড়ার লোকজন ক্যাং-এ চোয়াইং দিতে গিয়ে ক্যাং এর ভেতর বৌদ্ধ ভিক্ষুর গলা কাটা লাশ দেখতে পেয়ে পাড়ার অন্যান্যদের এবং পুলিশকে খবর দেয়।
চাক পাড়ার বাসীন্দারা জানান, নিহত বৌদ্ধ ভিক্ষু একই পাড়ার বাসিন্দা এবং তিনি ক্যাং ঘরে থাকতেন। রাতের যে কোন সময় দুর্বৃত্তরা ক্যাং ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে জবাই করে হত্যা করেছে। পাড়ার কারো সঙ্গে তার শত্রুতা আছে বলে আমাদের জানা নেই।
তার ঘাড়ে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথায় ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের দাগ রয়েছে। “তাকে গত রাত আটটা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে যেকোনো সময়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা”, বলছিলেন মি. আহসান।
ওই গ্রামের পাড়া-প্রধানের ছেলে অখোয়াই চাক বলেন, উ দেমা উয়াছার কোন শত্রু ছিল না। তিনি নিজের মতোই থাকতেন। কারো সাথে উচ্চস্বরে কথা বলতেন না। দুবছর আগে ভান্তের দায়িত্ব নেবার আগ পর্যন্ত তিনি কৃষিকাজ করতেন।
এর আগে হিন্দু সাধু, খ্রিস্টান পাদ্রি, নাস্তিক ব্লগার, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, পুস্তক প্রকাশক, বিদেশী নাগরিক, সমকামী অধিকার কর্মীরা খুন হয়েছে বাংলাদেশে।
সবাইকেই গলায় কিংবা মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।পরবর্তীতে দেশী কিংবা বিদেশী জঙ্গি গোষ্ঠির তরফ থেকে এসব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করা হয়েছে।
নাইক্ষংছড়ির এই ভিক্ষু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও এসব হত্যার ধারাবাহিকতা কিনা সেটা এখন স্পষ্ট না।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ বলছে, গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে তার সাথে কারো ব্যক্তিগত রেষারেষি ছিল না যার কারণে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।