রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিজ্ঞান শিক্ষা, গবেষণা ও রাজনীতিতে ড. ওয়াজেদ মিয়ার অবদান বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার (সুধা মিয়া) ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার (সুধা মিয়া) ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আণবিক শক্তি গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর গবেষণা কর্মের পরিধি ছিলো বিস্তৃত।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া মৌলিক মিথস্ক্রিয়া এবং কণা পদার্থবিজ্ঞান, অনু এবং পারমাণবিক চুল্লী, সলিড স্টেট ফিজিক্স, তড়িচ্চুম্বকত্ব, স্বাস্থ্য ও বিকিরণ পদার্থবিদ্যা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে গবেষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া তাঁর মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের কল্যাণে যে কাজ করে গেছেন জাতি তা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। তিনি তাঁর কর্মের জন্য শুধু আমাদের কাছে নন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার আদর্শ নতুন প্রজন্মের পাথেয় হয়ে থাকবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
মো. আবদুল হামিদ বলেন, ড. ওয়াজেদ বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।
ড. ওয়াজেদ মিয়ার কর্মময় জীবনের ওপর স্মৃতিচারণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ষাটের দশকে তিনি ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬২ সালে আইয়ূব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন এবং কিছুদিন জেল খাটেন। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের পাশে থেকে তাঁদের সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন।
তিনি বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের দু’বার সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ পদার্থ বিজ্ঞানী সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তাঁরই পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। (বাসস)