ঢাকায় ইতালিয় নাগরিক চেজারে তাভেলা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুমসহ সাতজনকে আসামী করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকার একটি আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। তবে বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুমসহ দু’জনকে এ চার্জশীটে পলাতক দেখানো হয়েছে।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এক রাতে ঢাকার গুলশান এলাকায় চেজারে তাভেলাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সেই হত্যাকাণ্ডের পর একটি ওয়েবসাইটে দাবী করা হয়েছিল জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট গ্রুপ চেজারে তাভেলা হত্যার ‘দায় স্বীকার’ করেছে।
কিন্তু হত্যাকাণ্ডে আইএস’র কোন সম্পৃক্ততার কথা বরাবরই খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
চেজারে তাভেলা ঢাকায় ইতালির একটি ত্রাণ সংস্থায় কাজ করতেন।
বিদেশী নাগরিক হত্যাকাণ্ডে এটিই প্রথম অভিযোগপত্র। ঢাকায় চেজারে তাভেলা হত্যাকাণ্ডের পর রংপুরে জাপানি নাগরিক কোনিও হোশিকে হত্যা করা হয়।
এদিকে বিএনপি নেতা কাইয়ুমের নাম চার্জশীটে আসার পর সেটির সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মি: আলমগীর এ চার্জশীটকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো’ বলে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে চেজারে তাবেলা হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন পর যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান মি: কাইয়ুমের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত করেন তখন তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।
অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবিসির ঢাকা অফিসে ফোন করে মি: কাইয়ুম বলেছিলেন, সরকার তাকে এবং বিএনপিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়াতে চাইছে।
মি: কাইয়ুম বলেছিলেন, “এ ঘটনার আমি কিছুই জানিনা। রাজনৈতিক ভাবে আমাকে বলির পাঁঠা বানানোর পাঁয়তারা চলছে।”
বিবিসি