বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিদেশী ব্যবসায়ী ও কুটনীতিকদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে পরিস্থিতি এখন প্রায় স্বাভাবিক এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে আগামীতে এ ধরনের অনাকাংখিত ঘটনা আর ঘটবে না’।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরি মায়াউডনের এর নেতৃেত্ব সাক্ষাৎ করতে আসা কুটনীতিক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশবাসী এখন ঐক্যবদ্ধ। ধর্মের নামে যারা এ সব সন্ত্রাসি কার্যকলাপ করছে, সে বিষয়ে দেশের আলেম সমাজও ইতোমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছে, মসজিদে মসজিদে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বয়ান হচ্ছে। তাই বাংলাদেশে বিদেশীদের উদ্বিগ্ন হবার কোন কারন নেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদেশী ব্যবসায়ী, কুটনীতিক বা মধ্যস্থতাকারী সকলেই নিরাপদে থাকবেন এবং বাণিজ্য বিনিয়োগের কাজ স্বাভাবিক ভাবেই করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগে এর কোন প্রভাব পড়বে না।
তোফায়েল আহমেদ জানান, সাক্ষাতকালে কুটনীতিক ও ব্যবসায়ীরা জঙ্গিদেরও বিরুদ্ধে সরকারের গৃহীত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে চলমান বাণিজ্য অব্যাহত ও জোরদার করার জন্য কুটনীতিক ও ব্যবসায়ীগণ বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃস্টির আহবান জানালে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার ইতোমধ্যে কার্যকর সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গুলশানের অনাকাংখিত ঘটনার পর সন্ত্রাসিদের একাধিক পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়িরা চাইলে সরকার যে কোন ধরনের সহযোগিতা দিবে। সরকারের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ-ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন বিজনেস কান্সিল একযোগে কাজ করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও ব্যবসায়ীক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গঠিত ত্রি প্লাস ফাইভ অর্থাৎ তিন সচিব এবং পাঁচ রাষ্ট্রদূতের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ১৮ আগস্ট সভা করবে। সেখানে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা দিবে বাংলাদেশ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙ্গালী বীরের জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। সন্ত্রাসের কাছে মাথানত করবে না। দেশবাসী সম্মিলিত ভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না। বিদেশীদের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে। এর আগে বাংলাদেশে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলে, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিসেল,স্পেনের রাষ্ট্রদূত এডোয়ার্ডো ডি লেইগলেসিয়া ওয়াই ডেল রোসেল, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত লিয়োনি কোয়েলিনেয়ার, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার আলিসন ব্লাক, ইতালীর চার্জ দ্যা এফেয়ার্স জিউসিপি সেমেনজা এবং জার্মানী ও ডেনমার্ক-এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া প্রতিনিধি দলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ব্যবসায়িগণও উপস্থিত ছিলেন এবং আলোচনায় অংশ নেনBSS