প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে জঙ্গিবাদে নিমজ্জিত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে উদ্দীপ্ত করতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইসলামের বদনাম করছে এমন অশুভ শক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বীজ অঙ্কুরিত হতে দেবে না।
শেখ হাসিনা আজ গণভবন থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে তাঁর উদ্যোগের অংশ হিসেবে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১৬ জেলার সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে এ আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন দেখে অনেকে ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেছে। দেশের এই অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে এটাও জঙ্গি হামলার একটা কারণ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিককালের গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় এবং শোলাকিয়ার ঈদ জামাতে জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইসলাম কখনও এ ধরনের বর্বর কর্মকান্ডকে সমর্থন করে না। ধর্মকে বিনষ্টের এটা তাদের ষড়যন্ত্র, কেননা ইসলাম সর্বদা শান্তি ও সৌহার্দ্যরে শিক্ষা দেয়।
এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সমাজের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে দেশ ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবারও আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের জনগণ ধর্মভীরু, তাই বলে তারা উগ্রবাদী নয়। সুতরাং একটি ইংরেজী মাধ্যমে পড়–য়া বালক কি করে এ ধরনের উগ্রবাদের পক্ষে পাঁ বাড়ায়?
প্রধানমন্ত্রী পিতা-মাতা, অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন উত্থাপন করে নিজেদের সন্তানদের প্রতি যতœবান হবারও আহবান জানান।
জঙ্গিবাদ দমনে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক এলাকায় জঙ্গিবাদ বিরোধী কমিটি গড়ে তুলে আড়ালে আবডালে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গি, নিখোঁজ ব্যক্তি এবং গোপন তৎপরতাকে খুঁজে বের করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার কর্মকর্তাবৃন্দ নিজ নিজ এলাকায় জঙ্গিবাদ দমনে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করায় তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দল-মত নির্বিশেষে সকলকে এ ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার মাধ্যমে আমাদের জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একজোট হয়ে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও সকলকে সতর্ক করে দেন। বাসস