পাঞ্জাবের পাঠানকোটের শতাব্দী প্রাচীন সেনা ছাউনিতে দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা টানা গুলি বর্ষণের পর আপাতত শেষ হল সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই। মৃত্যু হল ৪ জঙ্গি এবং ২ সেনার। আহত আরও ৬ সেনা। পঞ্জাব পুলিশের এডিজিপি এইচ এস ধিলন বলেন, “সেনা এবং জঙ্গির গুলির লড়াই বন্ধ হয়েছে।’’ নিহত দুই জওয়ানই ত্রিপুরার ১৬৮ ব্যাটেলিয়নের সেনা। এছাড়া যে ৪ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তারা জঈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য।
সকাল সাড়ে ন’টায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই বন্ধ হলেও আরও ২ জঙ্গির খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে এলাকায়। পুরো পঞ্জাবে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জম্মু-হিমাচল হাইওয়ে। নিরাপত্তাজনিত কারণেই আপাতত জম্মু-হিমাচল হাইওয়ে বন্ধ করা হল বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্যদিকে, বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা হলেও সব বিমান সুরক্ষিত রয়েছে বলে বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষ জানান। পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ পাঠানকোটের বায়ু সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালাল একদল আত্মঘাতী জঙ্গি। সেনাবেশে ৬-৭ জন জঙ্গি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে এই হামলা চালায়। এই জঙ্গিরা পাকিস্তানের বাওয়ালপুর থেকে এসেছিল এবং কুয়াশার সুযোগ নিয়েই সেনা ছাউনিতে ঢোকে বলে সেনা সূত্রের দাবি। যদিও এই হামলার কথা আগে থেকেই অনুমান করেছিল সেনাবাহিনী। হামলার আশঙ্কায় পাঠানকোটে ২ কোম্পানি সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। এছাড়া বিশেষ বাহিনী ও এনএসজি-র নজর ছিল। তবুও সেনাবেশে জঙ্গিরা সেনা ছাউনিতে প্রবেশ করায় হামলার বিষয়টি প্রথমে বোঝা যায়নি। তবে হামলার পর সেনারাও পাল্টা আক্রমণ চালায়। সেনা অপারেশনে নামানো হয় ২টি হেলিকপ্টার।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে পাঠানকোটের কাছে অকালগড় গ্রামের কাছ থেকে গুরুদাসপুরের অপহৃত পুলিশ সুপার সলবিন্দর সিং এবং তাঁর দুই বন্ধুকে উদ্ধার করে পুলিশ। ভাঙাচোরা অবস্থায় তাঁদের গাড়ি এবং নিহত চালকের লাশ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, অপহরণকারীদের খোঁজ এখনও মিলল না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঠানকোট এবং গুরুদাসপুরে জারি করা হয়েছিল ‘হাই এলার্ট।