আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল), পরীক্ষা সম্পর্ণ নকল ও বিশৃঙ্খলামুক্ত পরিবেশে সফলভাবে পরীক্ষা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, আসন্ন এসএসসি/সমমান পরীক্ষা নির্দিষ্ট তারিখে পাবলিক পরীক্ষা শুরু ও ফলাফল প্রকাশের যে ধারা আমরা শুরু করেছি তা একবারও ব্যত্যয় হয়নি।’ তত্বীয় পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৮ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৯ মার্চ শুরু হয়ে ১৪ মার্চ শেষ হবে।
এ বছর দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডে ৩১৪৩টি কেন্দ্রে ১৬,৫১,৫২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ১,৭২,২৫৭ জন বেশি। এ বছর এসএসসিতে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী ১৯২৬০ জন বেশি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের বাইরে বিদেশে ৮টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপোলি, দোহা, আবুধাবী, দুবাই, বাহরাইন এবং ওমানের সাহাম। বিদেশে ৮টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০৪ জন।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধান থাকবে।
গতবারের এসএসসি’র মতই এবার বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরণের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় এবং পরীক্ষার কক্ষে তার অভিভাবক/শিক্ষক/সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ বছর অটিস্টিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ জন।
শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিববৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ।