ভারতের আতিথেয়তার প্রশংসা করে ইডেন গার্ডেনসে ধোনিবাহিনীর বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপ ম্যাচে নামার আগেই অপ্রত্যাশিত ভাবে বিতর্কে জড়ালেন শাহিদ আফ্রিদি। নিজেদের দেশের চেয়েও বেশি ভালবাসা পান ভারতে, পাক অধিনায়কের এই মন্তব্যে জোরালো প্রতিক্রিয়া ছড়াচ্ছে পাকিস্তানে। শুধু আফ্রিদি নন, ভারতে পা রেখে এ দেশের আপ্যায়ন, আদরে বিগলিত, আপ্লুত শোয়েব মালিকও।
দুজনকেই একহাত নিয়ে প্রাক্তন পাক ক্রিকেট তারকা জাভেদ মিঁয়াদাদ পাক চ্যানেল আজ টিভি-কে বলেছেন, এমন কথা বলার জন্য লজ্জা হওয়া উচিত এই ক্রিকেটারদের। ধিক্ তোমাদের।
ঘটনাচক্রে পাক দলের ভারত সফর ঘিরে দীর্ঘ টানাপোড়েন, জটিলতা তৈরি হয়েছিল নিরাপত্তার ইস্যুতেই। এমনকী নিরাপত্তার আয়োজনে পাক কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হতে না পারায় হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা থেকে ভারত-পাক ম্যাচ স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার আবহে পাক দলের ভারত রওনা হতেও বিলম্ব হয়। কিন্তু সোজা কলকাতায় পা দিয়েই সাংবাদিক সম্মেলনে আফ্রিদির গলায় শোনা যায় উল্টো সুর। তিনি বলেন, সবসময় ভারতে খেলে আনন্দ পেয়েছি। পাকিস্তানের চেয়েও বেশি ভালবাসা পাই ভারতের দর্শকদের কাছ থেকে। একই প্রতিক্রিয়া শোয়েবেরও, ঘটনাচক্রে যাঁর স্ত্রী সানিয়া মির্জা ভারতের মেয়ে।
কিন্তু মিঁয়াদাদ বলছেন, পাকিস্তান দল ভারতে খেলতে গিয়েছে বটে, কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, আয়োজকদের ভজনা করতে হবে!
নাম না করে আফ্রিদিদের উদ্দেশ্যে ১২৪টি টেস্ট খেলা খ্যাতনামা ব্যাটসম্যান বলেছেন, ভারতে বসে সত্যিটা বল। গত ৫ বছরে ওরা আমাদের কী দিয়েছে বা পাক ক্রিকেটের সঙ্গে কী করেছে? এতগুলি বছর পাকিস্তানের হয়ে খেলার পর আমাদের ক্রিকেটারদের মুখে এমন কথা শুনে আমি আহত, হতবাক।
অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করা নয়, ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্য ভারতে গিয়ে ভাল খেলা, মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর প্রস্তাব, পাক ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। বিদেশ সফরে মিডিয়াকে সামলানোর ব্যাপারে ওদের ক্লাসের আয়োজন করা হোক।
আরেক প্রাক্তন পাক ক্রিকেট তারকা, প্রধান কোচ মহসিন খানও আফ্রিদি, শোয়েবের মন্তব্যে বিস্মিত। তিনি বলেছেন, ওরা সিনিয়র। বিশেষত ভারত সফরে মিডিয়ার সামনে সাবধানে কথা বলা উচিত ওদের।