ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়োগ দেয়া শুরু করেছেন। পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার সদস্যদের নামও তিনি আজই ঘোষণা দেবেন।
টেরেসা মে ডেভিড ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। মার্গারেট থ্যাচারের পর ব্রিটেনের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।
টেরেসা মে এ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার কয়েক সদস্যের নাম ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনের নিয়োগ অনেককেই বিস্মিত করেছে। জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে প্রচারণার শীর্ষে ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন আম্বার রাড। তিনি ইইউতে থাকার পক্ষে ছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন মাইকেল ফ্যালন।
ব্রেক্সিট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডেভিড ডিভিসকে। তিনি ইইউ থেকে বেরিয়ে আসা সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে কাজ করবেন।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডকে দেয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
এদিকে টেরেসা মে(৫৯) গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্কটল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রীদের নাম শিগগিরই ঘোষণা করবেন।
গত ২৩ জুন ঐতিহাসিক এক গণভোটে ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেদিনই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ডেভিড ক্যামেরন।
রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ক্যামেরনের পদত্যাগ গ্রহণ এবং টেরেসা মে’কে সরকার গঠনের আহ্বান জানান।
এদিকে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’কে টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল, ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এবং আইরিশ প্রধানমন্ত্রী এন্দা কেনি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ব্রিটেনর নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি গঠনমূলক আলোচনার জন্যে প্রস্তুত।
হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তা যারা মে’র সঙ্গে কাজ করেছেন তারা তাকে বাস্তববাদী হিসেবেই দেখেছেন।