মাত্র বারো বছরের মধ্যেই গ্রাজুয়েট। ১৮ বছর হওয়ার আগেই চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে তার। আমেরিকার স্যাক্রামেন্টোর এই বিস্ময়বালক তানিষ্ক আব্রাহামের ঝুলিতে এখনই তিনটি কলেজ ডিগ্রি। শুধু কি তাই, ক্যালিফোর্নিয়ার দু’টি কলেজ তাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই টানাটানি শুরু করেছে। তবে শেষমেশ কোন কলেজে ভর্তি হবে তা নিয়ে এখন দ্বিধায় তানিষ্ক।
আর পাঁচটা বাচ্চার মতো নয়। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার দিকে বেশি ঝোঁক ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান তানিষ্কের। সব কিছু এত তাড়াতাড়ি শিখে নিয়েছিল যে সাত বছর বয়সেই তাকে কমিউনিটি কলেজে ভর্তি করিয়ে দেন বাবা–মা। ম্যাথামেটিক্স ও ফিজিক্যাল সায়েন্স–সহ একটি বিদেশি ভাষা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে তানিষ্ক। গত বছরেই জেনারেল সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট হয়েছে সে।
তবে বিস্ময়বালক হলেও তানিষ্কের শুরুটা কিন্তু সহজ ছিল না। প্রথম প্রথম তো তাকে ভর্তি নিতে রাজি ছিল না কোনও কলেজেই। শেষমেশ একটা কলেজে জায়গা হয় তার। তবে শর্ত হিসেবে তার মাকেও সেই কলেজে ক্লাস করতে হবে বলে জানিয়ে দেন সেই কলেজ কর্তৃপক্ষ। পেশায় পশু চিকিৎসক তানিষ্কের মা তাতেই রাজি হয়ে যান। কেমন ছিল কলেজের অভিজ্ঞতা? তানিষ্ক বলেছে, “প্রথম দিকে ক্লাসের কোনও কোনও বন্ধু আমাকে এড়িয়ে চললেও পরে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। আর এক সময় তো আমার মাকেই আপেক্ষিকতাবাদ বোঝাতে শুরু করেছিলাম আমি।”
কেরল থেকে আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বাবা বিজু আব্রাহাম জানিয়েছেন, ছোট থেকেই সব কিছু খুব তাড়াতাড়ি শিখে নিত তানিষ্ক। বিজু বলেছেন, “চার বছর বয়সেই তানিষ্কের আইকিউ টেস্ট করানো হয়েছিলাম। তখনই জানতে পারি, অন্যদের থেকে অনেক স্মার্ট সে।” তবে যাকে নিয়ে এত আলোচনা সেই তানিষ্ক জানিয়েছে, পড়াশোনা ভাল লাগলেও অন্য বাচ্চাদের মতোই ভিডিও গেমসের পোকা সে।