ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোরলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ মার্চ মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফোরলেনের উদ্বোধন করবেন।
ওবায়দুল কাদের আজ রোববার সকালে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নবনির্মিত আন্ডারপাস উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার শহীদ মোস্তফা কামাল গেইট সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ আন্ডারপাসটি নির্মাণ করা হয়েছে।
৩৩৭ মিটার দীর্ঘ ও ৭ মিটার প্রস্তবিশিষ্ট এই আন্ডারপাস নির্মানে খরচ হয়েছে ১৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে কন্সটেক নির্মাণ কোম্পানী ৯ (নয়) মাসে এ আন্ডারপাস নির্মাণ করে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অর্থায়নে এ আন্ডারপাসটি নির্মানের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সচল হওয়ার পাশাপাশি কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের উত্তর ও দক্ষিণাংশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও উভয় এলাকার মানুষের সুবিধা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোঃ এনায়েত উল্লাহ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন বছরের অঙ্গীকার হচ্ছে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ বিনির্মাণ। বাংলাদেশের মতো বিশ্বের কোন দেশে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র অবৈধ স্থাপনা এবং বিলবোর্ড নেই। তিনি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সেনাবাহিনীসহ সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা এবং বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানও শুরু করা হবে। স্থানীয়ভাবে টাঙ্গানো রাজনৈতিক বিলবোর্ডগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য তিনি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধের প্রতি আহ্বান জানান।
কুমিল্লা সেনানিবাসের সাবেক এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. জাহেদুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জোনায়েত আহমেদ, ৪ লেন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবদুস সবুর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কে এম আতিকুল হক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ দিদারুল আলমসহ সেনানিবাসের উর্ধ্বতন সেনা কর্মকতাবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।