প্রথমবারের মতো এই সেবা চালু করছে মিশরের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উড়োজাহাজ সংস্থা ইজিপ্ট এয়ার। প্রাথমিকভাবে সপ্তাতে দুটি করে ফ্লাইট চলবে ঢাকা কায়রো রুটে। ইজিপ্ট এয়ার জানায়, এই ফ্লাইট চালুর ফলে পর্যটন, শিক্ষা ও শ্রমবাজারের সুযোগ বাড়বে বাংলাদেশের। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকার দেশগুলোতে যাতায়াতের সময় ও অর্থেরও সাশ্রয় হবে।
হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা আর জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার লীলাভূমি মিশর। স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এই মুসলিম দেশটি। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কায়রো সফর করেন। ঢাকা এসেছিলেন মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতও। তারপর থেকে বেড়েছে যোগাযোগ-বন্ধুত্ব। দেশটির আলা আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। দেশটির শ্রমবাজার ও বাণিজ্যেও বাড়ছে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ।
দু’দেশের বন্ধুত্ব আর যোগাযোগ আরও বাড়াতে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে ঢাকা-কায়রো ফ্লাইট। ১৪ মে থেকে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইজিপ্ট এয়ার।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ-আমেরিকাগামী যাত্রীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে এই ফ্লাইটের মাধ্যমে। কায়রোতে দুই থেকে তিন ঘণ্টার ট্রানজিটে পাওয়া যাবে কানেকটিং ফ্লাইট।
বোয়িং ড্রিমলাইনার সেভেন এইট সেভেন নাইন মডেলের উড়োজাহাজ চলবে এই রুটে। বর্তমানে আফ্রিকা, ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকার ৮১টি গন্তব্যে যাত্রী ও মালবাহী পরিষেবা পরিচালনা করে ইজিপ্টএয়ার।