কক্সবাজার উপকূল দিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। সন্ধ্যা ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা ৬ টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে টেকনাফ, শাহ পরির দ্বীপ এবং সেন্ট মার্টিন এলাকায় অনেক গাছ ভেঙে পড়ে এবং বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরকারি হিসাবেই কক্সবাজারে বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি ঘর-বাড়ি। উপড়ে গেছে কয়েক হাজার গাছপালা। সেন্টমার্টিনে ৮০ শতাংশ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসময় সাগরের জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় সেন্টমার্টিনের একাংশ। সেখানে ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উপড়ে পড়ে।
‘মোখা’র আঘাতে লন্ডভন্ড উপকূলীয় এলাকা । ত্রাণ কাজ শুরু করেছে নৌবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। মোখার তান্ডবে সাগরে ভাটার সময়েও আছড়ে পরছে বড় বড় ঢেউ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা বাড়িঘর ও অস্থায়ী জেলে পাড়াগুলো।
ঘূর্ণিঝড় “মোখা” এটি দূর্বল হয়ে মিয়ানমারের সিটুয়েতে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।