পরিচালক (হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) হিসেবে দেশের অন্যতম শিল্প গোষ্ঠী যমুনা গ্রুপে যোগ দিয়েছেন গোলাম রাব্বানী। ছাত্রলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক করপোরেট জীবনে কেন এসেছেন, এক জাতীয় দৈনিকের কাছে তা বিস্তারিত জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। এটা (যমুনা গ্রুপ) দেশের বৃহত্তম শিল্প গোষ্ঠী। ৪১টি কনসার্ন আছে। কাজে অনেক বৈচিত্র্য আছে, দেওয়ার সুযোগ আছে, শেখারও সুযোগ আছে। আমি এভাবে দেখতে চাই, যেহেতু আমি রাজনীতি করেছি, রাজনীতি আমার প্যাশন। তাই আমার তো ক্যারিয়ার থাকতে হবে, আয়ের উৎস থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে আমি দেবো, রাজনীতিতে নেওয়ার কিছু নেই। রাজনীতি হচ্ছে দেশের সেবা ও মানুষের সেবা। এটুকুই বুঝি। আমার আদর্শিক পিতা বঙ্গবন্ধু, তিনিও রাজনীতির পাশাপাশি চাকরি করেছেন, ব্যবসা করেছেন। তাই এটা করতেই হবে। সেই জায়গা থেকে মনে হয়েছে এটাই সময়।’
নতুন চাকরি উপভোগ করছেন জানিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘আমি সামাজিক সংগঠন করি, “টিম পজিটিভ বাংলাদেশ”। করোনার সময় কাজ করছিলাম। যত দিন যাচ্ছে এটার পরিধি বাড়ছে, মানুষের প্রত্যাশা বাড়ছে। সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য, ভালো কাজ করার জন্য দিন শেষে তো টাকা লাগবেই। সেই জায়গা থেকে আমি নিজেও ব্যবসা শুরু করেছি। কিন্তু সেটা তো মাত্র শুরু, সময় লাগবে। যমুনার মতো প্রতিষ্ঠিত বড় গ্রুপের সঙ্গে থাকলে আমি শিখতে পারব। পাশাপাশি রাজনীতিতে যে সাপোর্ট (সহায়তা) দেওয়া সেটাও হবে। মোট কথা এখানে শেখার জন্য আসছি এবং আমার জায়গা থেকে কিছু দিতে আসছি। আলহামদুলিল্লাহ আমি উপভোগ করছি, ভালো লাগছে।’
গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমি বুঝি, রাজনীতিতে আমার মেধা, শ্রম, শক্তি, অর্থ, বিত্ত, প্রভাব-প্রতিপত্তি, আল্লাহ আমাকে যা কিছু দিয়েছে, যা কিছু দেবে—তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে যদি কোনো মানুষের উপকার করতে পারি, দেশের বা সমাজের উপকার করতে পারি, ওটাই হচ্ছে আমার সফলতা পরিমাপের মাপকাঠি। কে ৫০ বছর রাজনীতি করল, সেটা বিষয় না। কে কতজন মানুষের উপকার করেছে, সে ব্যক্তি হিসেবে কোন পজিশনে গেছে, সেটা কোনো বিষয় না। তার মাধ্যমে দেশ, মানুষ কতটুকু উপকৃত হয়েছে রাজনীতির সফলতা, ব্যর্থতার একমাত্র পরিমাপক হচ্ছে, আমি দেশের জন্য মানুষের জন্য কী দিতে পারলাম, কী করতে পারলাম।’