যুক্তরাষ্ট্র কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে হয় সেই ব্যাপারে তারা ভূমিকা রাখবে বলেছে। কেউ যদি নির্বাচনকে ব্যাহত করে, সন্ত্রাস করে যেটি ১৩, ১৪ ও ১৫ তে করেছে সেই ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় এবং সকল মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সে বিষয়ে বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো আব্দুর রাজ্জাক।
শনিবার (২৭ মে) দুপুরের টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা যুবলীগের সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন যে কোন মূল্যে সুষ্ঠু, সুন্দর সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন, সরকারের এখানে কিছুই করার নাই। আমরা আশাবাদি বিএনপিও নির্বাচনে আসবে, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তারপরেও যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকার আনতে চায় নির্বাচনকে বানচাল করতে চায় তাহলে এদেশের প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনী মোকাবেলা করবে।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিসার ব্যাপারে যে বিষয়টি বলেছে, এটি আমাদের জন্য হতাশ হওয়ার কিছুই নাই। আমরা যেটি চাই সেটি হচ্ছে সুন্দর নির্বাচন। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে সেটি বাংলাদেশে হবে। একটি বড় নির্বাচন প্রভাব বিস্তার করবে। তার অর্থ এই না আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে যাবো।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৩০০ সিট রয়েছে কিন্তু আমাদের দরকার ১৫০টি সিট। সব সিটে জিতবো। আমরা সব জায়গায় জিততে পারি না। নানা ফ্যাক্টর কাজ করে। গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুন্দর একটি নির্বাচন হয়েছে। তাতে আমরা খুশি। আমরা চেয়েছিলাম গ্রহনযোগ্য নির্বাচন। জাতিকে দেখিয়েছি গাজীপুরে নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন। আমরা ফলাফল নিয়ে বিচলিত নই।
আওয়ামী যুবলীগের জেলা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য তারানা হালিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মমতা হেনা লাবলী প্রমুখ।