ভারতের বিহার রাজ্যে গত ৮ জানুয়ারি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) একটি মেয়ের বিয়ে হয় হরিয়ানার টিকু পাতিকারের সঙ্গে। মাস খানেক আগে, সে বিহার ছেড়ে যায় তাঁর শ্বশুড়বাড়িতে হরিয়ানায়। মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে বাবা-মা নিশ্চিন্তে থাকেন। কিন্তু কাহিনীতে ট্যুইস্ট তার পর থেকেই। মেয়েটি হরিয়ানায় যাওয়ার পর থেকেই তাঁর শ্বশুড়বাড়ির লোকের তাঁকে গাল দেওয়া শুরু করেন। কারণ, খুব সহজ। পণ। মেয়েটি বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা পণ পাওয়ার কথা ছিল টিকু পাতিকারের। শুধু তাই নয়। সঙ্গে এনফিল্ড মোটরবাইক। কিন্তু পয়সার অভাবে মেয়েটির বাবা সেই টাকা আর মোটরবাইক দিতে পারেননি। তাই শুরু হয় মানসিক নির্যাতন এবং শারীরিক নির্যাতন। কবে দেবে মেয়েটির বাবা পণের টাকা! তবু সহ্য করে যাচ্ছিলেন রীতা।
কিন্তু একদিন মেয়েটি জানতে পারেন, তাঁর স্বামী টিকু পাতিকার, তাঁর বোনের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে, তাঁকে এক রাতের জন্য দিয়ে দিচ্ছেন আর একজনকে! সেই লোকটা পর্ন বানান! আর এর জন্য রীতার স্বামী পাবেন ৭ লক্ষ টাকা! ব্যস, রীতা বুঝে যান, তাঁকে বাঁচতে গেলে পালাতে হবে। তাই কোনওরকমে পালিয়ে যান তিনি।