38 C
Bangladesh
Tuesday, June 6, 2023
Homeব্যবসারমজানে নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

রমজানে নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে খাদ্যে ভেজাল, মজুদদারি, কালোবাজারি এবং নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টাকে অত্যন্ত ‘গর্হিত কাজ’ উল্লেখ করে এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “খাদ্যে ভেজাল দেয়া, মজুদদারি বা কালোবাজারি এবং নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি এটা যেন কেউ করতে না পারে সেজন্য সকলকে আমি সতর্ক থাকার জন্য আহবান জানাচ্ছি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশব্যাপী আরো ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান মাস। এ সময় আমাদের কিছু ব্যবসায়ী জিনিষের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। কারণ রমজান মাস কৃচ্ছতা সাধনের সময় এবং মানুষ যাতে ভালভাবে তাদের ধর্মকর্ম এবং রোজা যথাযথভাবে পালন করতে পারে সেদিকেই সবার দৃষ্টি দেয়া উচিত। সেসময় এসব মুনাফা লোভীদের জিনিষের দাম বাড়ানো আর মানুষকে বিপদে ফেলার কোন মানে হয়না।
শেখ হাসিনা বলেন, ইমামগণ যখন মসজিদে জুম্মার নামাজের খোৎবা দেন তখন কালোবাজারি বা মজুদদারি বা খাদ্যে ভেজাল দেয়া আর অযথা মানুষকে কষ্ট দেয়া যে গর্হিত কাজ সে ব্যাপারে মানুষকে আপনাদের আরো বলা উচিত। খোৎবাতেও এটা বলতে পারেন বা মানুষকে সচেতন করতে পারেন।
তিনি বলেন, সেভাবেই কাজ করতে আমি মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খাদেমগণকে অনুরোধ করবো । তাহলে মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত মুনাফা নেয়ার প্রবনতা নিশ্চই কমবে।
নিন্ম আয়ের মানুষের ন্যর্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার পারিবারিক কার্ডের ব্যবস্থা করেছে ্উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অধিক দামে চাল ক্রয় করে ৩০ টাকা মূল্যে বিভিন্ন পরিবারকে দিচ্ছি। রমজানকে সামনে রেখে আরো ১ কোটি মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে আমরা চাল সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি এবং একেবারে কর্মক্ষমতাহীনদের বিনাপয়সায় ৩০ কেজি করে চালও দিয়ে যাচ্ছি। মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার ন্যর্যমূল্যে এই নিত্যপয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তিনটি ধাপে সারাদেশে ৯,৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ৫৬৪টি মসজিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করেছেন।
সরকার প্রধান প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১০ জুন ৫০টি মসজিদ এবং চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরো ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হবে।
এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসমূহে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ ওজু ও নামাজের আলাদা জায়গা রয়েছে।
এছাড়া হজযাত্রীদের জন্যে রেজিষ্ট্রেশান ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরী, অটিজম কর্ণার, দাফন পূর্ব আনুষ্ঠানিকতা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরাআন শিক্ষা ব্যবস্থা, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও ইসলামের দাওয়াতের জন্যে সম্মেলন কেন্দ্র, ইসলামি বই বিক্রয় কেন্দ্র, মসজিদসহ দেশি বিদেশী অতিথিদের জন্যে থাকার সুবিধা রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

Most Popular

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img