ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী বাংলাদেশের পাশে থাকার এবং সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় সহায়তাকল্পে তার সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মুখার্জী বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে সমর্থন করছি।’
ঢাকার গুলশান রেস্তোরাঁ ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পর পরই ভারতের রাষ্ট্রপতি ওইসব হামলার কঠোর নিন্দা জানান এবং আশ্বস্ত করেন যে, নয়াদিল্লী ঘৃণা, বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা ছড়ানো এই জঙ্গীদের পরাস্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের সক্ষমতা বাড়াতে সম্ভব সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
বুধবারের বৈঠককালে মুখার্জী সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার লড়াইয়ের প্রতি ভারতের অনুরূপ মনোভাব ব্যক্ত করেন।
এ সময় আসাদুজ্জামান খান ভারতের রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন যে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ছিল পরিকল্পিত এবং উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত ও দেশকে অস্থিতিশীল করতেই কেবল দেশীয় জঙ্গীরা এসব হামলা করছে।
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর প্রধান মেজর জেনারেল আজীজ আহমেদ, কোস্টগার্ড প্রধান রিয়ার এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বৈঠকে অংশ নেন।
নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে আসাদুজ্জামান খান বুধবার দিল্লী পৌঁছেন। তিনি ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আগামী ৩০ জুলাই মন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।