নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সাগর নামে (১০) এক শিশু শ্রমিককে বায়ু পথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নাজমুল হুদা (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর তিনজন হলেন, এলাহী (৩০), রাশেদুল ইসলাম (২৬) আযহার ঈমাম (২৫)। এরা সবাই একই কারখানায় কাজ করেন।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে তারাব পৌরসভার যাত্রামুড়া এলাকার এখলাছ স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানায় কাজ করার সময় কয়েকজন লোক সাগর বর্মনের পায়ুপথে কমপ্রেসার মেশিন দিয়ে বাতাস প্রবেশ করালে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার পেট ফুলে যায়। তাকে প্রথমে গুরুতর অবস্থায় কাঁচপুরের একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে, কারখানার মালিকপক্ষের দাবি, সাগর কম্প্রেসারের হাওয়া দিয়ে মেশিন পরিষ্কার শেষে নিজের শরীরে বাতাস লাগিয়ে ময়লা (ডাস্টার) পরিষ্কার করতে থাকে। এ সময় মুখে বাতাস ঢুকে সে গুরুতর আহত হয়। পরে মিল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কিবরিয়া দাবি করেন, সাগর কাজ শেষে নিজের শরীর পরিষ্কার করতে গেলে মুখে বাতাস ঢুকে যায়।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিয়ার রহমান রাতে জানান, তারা প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চত হয়েছেন জানিয়েছে বলেন, কারখানার ভেতরেই পায়ূপথে বাতাস
দিয়ে শিশু শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে বেশ কয়েকজন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিহত শিশুটি নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার রাজিবপুর গ্রামের রতন বর্মণের ছেলে। তারা সপরিবারে বর্তমানে কারখানার পাশেই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সাগর ছোট।